মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ফাঁসির রায় দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে শহীদ পরিবারগুলো জানিয়েছেন, রায় হলেও ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত তাদের মুখে হাসি ফুটবে না।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় রায় ঘোষণার পর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। মীর মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খুনি ও স্বৈরাচারী নেতা হিসেবে অভিযুক্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সাময়িক খুশি অনুভব হলেও শহীদ পরিবারগুলো সত্যিকারের শান্তি পাবে তখনই, যখন গণহত্যাকারীদের ফাঁসিতে ঝুলতে দেখবে।
রায়ের প্রথম অংশ সোমবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে শুরু হয়। বিচারিক প্যানেলের সদস্য বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী প্রথমে রায় পড়া শুরু করেন। ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্যানেলের অপর সদস্যরা ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ।
রায় ঘোষণার সময় জনাকীর্ণ আদালতে আইনজীবীরা ছাড়াও জুলাই-আগস্টে নিহতদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। আদালত জানিয়েছে, শেখ হাসিনা সহ তিন আসামির অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে তিনটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড এবং একটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে একটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মামলার শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষ বারবার দাবি করেছিল, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী সব ধরনের অপরাধের পরিকল্পনাকারী, হুকুমদাতা এবং সর্বোচ্চ নির্দেশদাতা ছিলেন।
শেখ হাসিনা ছাড়া এই মামলার বাকি দুই আসামি ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। সাবেক আইজিপি মামুন এই মামলার একমাত্র গ্রেপ্তারকৃত আসামি এবং তিনি আদালতে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
সিএ/এমআরএফ


