অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় লেখা হয়েছে। তিনি জানান, এ রায়ে শহীদরা ন্যায়বিচার পেয়েছে, রাষ্ট্র ন্যায়বিচার পেয়েছে এবং প্রসিকিউশন পক্ষও ন্যায়বিচার পেয়েছে। তার মতে, শহীদদের প্রতি, দেশের প্রতি, সংবিধান ও আইনের শাসনের প্রতি এবং আগামী প্রজন্মের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে এই রায়কে যুগান্তকারী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর অ্যাটর্নি জেনারেল এসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এই মামলার দুইজন আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি—মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর একজন আসামি, যিনি রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতে উপস্থিত ছিলেন, তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই রায় প্রশান্তি এনে দেবে এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রাখবে। এটি বাংলাদেশের ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে গণ্য হবে। আদালত পাঁচটি অভিযোগকে তিনটি কাউন্টে রূপান্তর করে সাজা প্রদান করেছে। আইনের বিধান অনুসারে, গ্রেপ্তারের দিন থেকেই সাজা কার্যকর হবে এবং রাষ্ট্র আইনিভাবে সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, শহীদদের পরিবার এবং আহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশনা আদালত দিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, মামলার মধ্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কোনো বিষয় ছিল না, তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এছাড়া তিনি জানান, শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পলাতক অবস্থায় থাকাকালীনও এদের আপিল করার সুযোগ নেই।
সিএ/এমআরএফ


