চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ও বালুবাহী বাল্কহেডের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) গভীর রাতে মোহনপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে লঞ্চের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সৌভাগ্যবশত প্রাণে বেঁচে গেছেন এতে থাকা সহস্রাধিক যাত্রী।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে রাজনৈতিক সমাবেশ শেষে চাঁদপুর ফিরছিল যাত্রীবাহী লঞ্চ ইমাম হাসান-৫। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেঘনা নদীতে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে দৃশ্যমানতা কমে আসে। মোহনপুর এলাকায় পৌঁছালে নদীতে নোঙর করে রাখা একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে লঞ্চটির সজোরে ধাক্কা লাগে।

সংঘর্ষের বিকট শব্দে লঞ্চে থাকা যাত্রীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার পরপরই চালক লঞ্চটিকে দ্রুত তীরের কাছে নিয়ে যান। যাত্রীরা প্রাণভয়ে দ্রুত লঞ্চ থেকে নেমে নিরাপদ আশ্রয় নেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার অভিযানে নামে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম জানান, আমরা খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং আতঙ্কিত যাত্রীদের নিরাপদে তীরে সরিয়ে নিই। পরে বিকল্প লঞ্চ ইমাম হাসান-২, স্পিডবোট এবং কিছু যাত্রীকে সড়কপথে তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বড় ধরনের কোনো হতাহত না হওয়াটা স্বস্তির।”
স্থানীয়রা জানান, শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে মেঘনায় ঘন কুয়াশার কারণে নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীদের মতে, সামনের কিছুই দেখা না যাওয়ায় দাঁড়িয়ে থাকা বাল্কহেডটি চালকের নজরে আসেনি।
বর্তমানে দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চটি মোহনপুর এলাকায় নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে। নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ শীতকালীন এই মৌসুমে নৌযান চালকদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছে।
সিএ/জেএইচ


