হিমালয় সংলগ্ন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাসের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে পুরো এলাকা। দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৭ শতাংশ। একই দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় ঘন কুয়াশা দেখা যায়। শীতপ্রবণ জেলা হিসেবে পরিচিত পঞ্চগড়ে কুয়াশার সঙ্গে সঙ্গে শীতের প্রকোপও বাড়ছে। প্রতিদিন বিকেলের পর থেকেই কুয়াশা নামতে শুরু করে এবং রাতভর বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরে। পরদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত পুরো এলাকা কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে। এমনকি দিনের বেলাতেও যানবাহন চলাচলে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে।
উপজেলা সদরের মমিনপাড়া এলাকার কৃষক আসাদুল হক বলেন, সন্ধ্যার পর থেকেই কনকনে বাতাস আর কুয়াশা শুরু হয়। সকালে ক্ষেতে কাজ করতে খুব কষ্ট হয়। তবে বেলা ১১টার পর রোদ উঠলে কিছুটা শীত কমে। কয়েক দিনের মধ্যে শীত আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছি। শীতে আমাদের খুব কষ্ট হয়।
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবও বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যা গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। বিশেষ করে নিউমোনিয়া, হাঁপানি এবং সর্দি-কাশির রোগী বেশি আসছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, গত প্রায় ১৫ দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। ধীরে ধীরে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কমছে। রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
সিএ/জেএইচ


