রাজশাহীর তানোরে গভীর গর্তে পড়ে নিখোঁজ হওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বুধবার দুপুরে কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গর্তে পড়ে যায় শিশুটি। এরপর বিকেল থেকে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ শুরু করলেও ২৪ ঘণ্টা পার হলেও শিশুটির সন্ধান মেলেনি।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, মূল গর্তের পাশ কেটে উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। প্রায় ৪৫ ফুট পর্যন্ত খনন করা হলেও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। আজ বেলা আড়াইটার সময় পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলছিল। নিখোঁজ সাজিদ কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের মো. রাকিবের ছেলে।
আজ দুপুরে উদ্ধার কার্যক্রম পরিদর্শনে ঘটনাস্থলে যান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি জানান, ‘শিশুটিকে না পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস কাজ করে যাবে। প্রয়োজন হলে ১০০ ফুট পর্যন্ত যেতে হবে। এটা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’
উদ্ধারকাজে যুক্ত কর্মকর্তাদের একজন জানান, সার্চ ভিশন ক্যামেরা দিয়ে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। তবে ৪৫ ফুটের পর ক্যামেরা নিচে নামছে না। এর পর কীভাবে অনুসন্ধান চালানো যায়, তা নিয়ে শিশুটির পরিবার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় লোকজন জানান, পচন্দর ইউনিয়নের এই এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। গভীর নলকূপ বসানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কোয়েলহাট গ্রামের কছির উদ্দিন নামে একজন ব্যক্তি নিজের জমিতে পানির স্তর পরীক্ষা করার জন্য গর্ত খনন করেছিলেন। পরে গর্তটি ভরাট করা হলেও বর্ষায় মাটি বসে গিয়ে আবারো গর্তের সৃষ্টি হয় এবং সেই গর্তেই পড়ে যায় সাজিদ।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এক্সকাভেটর দিয়ে খনন শুরু হয়। রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট, পুলিশ এবং সেনাবাহিনী অভিযানে অংশ নেয়। রাত ১০টার দিকে ছোট এক্সকাভেটর দিয়ে আর খনন সম্ভব না হওয়ায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পাঠানো বড় এক্সকাভেটর দিয়ে অভিযান চালানো হয়। আজ সকাল আটটার দিকে প্রায় ৩৫ ফুট গভীরতায় মূল গর্তের পাশ থেকে কাটলেও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটি আরও গভীরে নেমে গেছে।
সিএ/জেএইচ


