রাজশাহী প্রতিনিধি | চ্যানেল আগামি
রাজশাহী মহানগর এনসিপি কার্যালয়ে তালাবদ্ধ আট নেতাকে তালা ভেঙে উদ্ধার করা হয়েছে। জেলা কমিটি বাতিলের দাবিতে ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ধারী একদল তরুণ বুধবার রাত ৯টার দিকে কার্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর রাত ১১টার দিকে এনসিপির নেতারা তালা কেটে ভেতরে আটক থাকা নেতাদের বের করে আনেন।
ঘটনার বিস্তারিত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ৯টার দিকে একদল তরুণ কার্যালয়ে ঢুকে উত্তেজিতভাবে স্লোগান দিতে থাকে—
‘এই বাইরন, বাইরন’, ‘এনসিপিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হচ্ছে’,
‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’,
‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘দালালি না আজাদি’—ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান।
এ সময় মহানগর কমিটির আহ্বায়ক মোবাশ্বের আলী বিক্ষুব্ধদের শান্ত করতে গেলে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে নেতাদের ২০ মিনিটের মধ্যে কার্যালয় ছাড়ার আল্টিমেটাম দেন। কিছুক্ষণ পরই তারা প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়।
তালা দেওয়ার পর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষুব্ধরা ক্রস চিহ্ন এঁকে লেখে—
‘আওয়ামী লীগ বয়কট’, ‘দালাল বয়কট’, ‘বয়কট এনসিপি’।
আহ্বায়ক মোবাশ্বের আলী বলেন,
“জুলাই আন্দোলনে রাজপথে থাকা তরুণরা জেলা কমিটি মানতে পারছেন না। তাদের দাবি যৌক্তিক। তবে কমিটি কেন্দ্রীয়ভাবে অনুমোদিত, এখানে আমাদের হস্তক্ষেপ নেই।”
জেলা কমিটি থেকে আরও ৫ জনের পদত্যাগ
রাজশাহী জেলা এনসিপির কমিটি নিয়ে বিরোধ আরও তীব্র হয়েছে। নতুন করে জেলা কমিটির আরও পাঁচ সদস্য—আজিজুল ইসলাম, আসাদ, মিলন চন্দ্র ঘোষ, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ও নঈম ফকির—বুধবার পদত্যাগপত্র কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। এ নিয়ে মোট ১১ জন নেতা পদত্যাগ করলেন।
পদত্যাগকারী নেতারা অভিযোগ করেন,
“জুলাই আন্দোলনে আমরা সামনের সারিতে ছিলাম। অথচ সেই আন্দোলনের বিরোধী শক্তির দোসর সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এই কমিটিকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।”
২৯ নভেম্বর ঘোষিত ১১৪ সদস্যবিশিষ্ট জেলা কমিটিতে সাইফুল ইসলাম আহ্বায়ক ও রনিউর রহমান সদস্যসচিব হন। ঘোষণার পরদিনই যুগ্ম সদস্যসচিব জিহান মোবারক প্রথম পদত্যাগ করেন।
অভিযোগের জবাবে আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন,
“আমার আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক পদ বা সংশ্লিষ্টতা ছিল না। তাই অভিযোগ ভিত্তিহীন।


