এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা দলটি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে আসন্ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়েছেন তিনি। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান তাসনিম জারা।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো দলের সঙ্গে থাকছি না।’ এর মধ্য দিয়ে এনসিপির সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার ইতি টানার বিষয়টি স্পষ্ট করেন তিনি।
এদিকে এনসিপির এক যুগ্ম সদস্যসচিব জানান, তাসনিম জারা দলীয় গ্রুপে পদত্যাগের কথা লিখিতভাবে জানিয়েছেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘প্রিয় সহযোদ্ধাগণ, আমি দল থেকে পদত্যাগ করেছি। গত দেড় বছরে আপনাদের থেকে অনেক কিছু শিখেছি। সে জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আপনাদের জন্য শুভ কামনা রইল।’
নিজের পোস্টে নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের উদ্দেশে তাসনিম জারা বলেন, ‘প্রিয় খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদাবাসী, আমি আপনাদের ঘরের মেয়ে। খিলগাঁওয়েই আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল একটি রাজনৈতিক দলের প্ল্যাটফর্ম থেকে সংসদে গিয়ে আমার এলাকার মানুষের ও দেশের সেবা করা। তবে বাস্তবিক প্রেক্ষাপটের কারণে আমি কোনো নির্দিষ্ট দল বা জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি লেখেন, ‘আমি আপনাদের এবং দেশের মানুষকে ওয়াদা করেছিলাম যে আপনাদের জন্য ও নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ার জন্য আমি লড়ব। পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, আমি আমার সেই ওয়াদা রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাই এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ঢাকা-৯ থেকে অংশগ্রহণ করব।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বাস্তবতা তুলে ধরে তাসনিম জারা বলেন, ‘একটা দলের প্রার্থী হলে সেই দলের স্থানীয় অফিস থাকে, সুসংগঠিত কর্মী বাহিনী থাকে। সরকার ও প্রশাসনের সাথে নিরাপত্তা বা অন্যান্য বিষয়ে আপত্তি ও শঙ্কা নিয়ে কথা বলার সুযোগ থাকে। তবে আমি যেহেতু কোনো দলের সাথে থাকছি না, তাই আমার সে সব কিছুই থাকবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার একমাত্র ভরসা আপনারা। আপনাদের মেয়ে হিসেবে আমার সততা, নিষ্ঠা এবং নতুন রাজনীতি করার অদম্য ইচ্ছাশক্তির প্রেক্ষিতে আপনারা যদি স্নেহ ও সমর্থন দেন, তবেই আমি আপনাদের সেবা করার সুযোগ পাব।’
পোস্টে তিনি দুটি বিশেষ বিষয়ের কথাও উল্লেখ করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘দুটি বিশেষ বিষয় : এক. নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে আইনি বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী আমাদের ঢাকা-৯ আসনের ৪৬৯৩ জন ভোটারের সমর্থনযুক্ত স্বাক্ষর একটি নির্দিষ্ট ফরমে প্রয়োজন। আগামীকাল এই স্বাক্ষর সংগ্রহের কাজ শুরু করব। মাত্র এক দিনে এত মানুষের স্বাক্ষর গোছানো প্রায় অসম্ভব একটি কাজ।’
সিএ/এএ


