আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে নিয়ে টকশোতে বিরূপ মন্তব্য করার ঘটনায় দায়ের করা আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার পর অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফজলুর রহমান।
সোমবার বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন। এদিন বেলা ১১টার পর আইনজীবীদের একটি দল নিয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজির হন ফজলুর রহমান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, গাজী কামরুল ইসলাম সজলসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী।
হাজিরা শেষে ফজলুর রহমান ট্রাইব্যুনালের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন, “আল্লাহর পরই আপনাদের প্রতি আমার সম্মান।” এরপর তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করলে আদালত তাঁর ক্ষমা গ্রহণ করে অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। ট্রাইব্যুনাল মন্তব্য করে, “আপনার মতো ব্যক্তির কাছে এ ধরনের বক্তব্য প্রত্যাশিত নয়।”
অভিযোগের প্রেক্ষাপট
গত ২৬ নভেম্বর প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন। এরপর ৩০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল ফজলুর রহমানকে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেয়। ইতোমধ্যে তিনি ৩ ডিসেম্বর লিখিতভাবে ট্রাইব্যুনালের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান।
অভিযোগ অনুযায়ী, ২৩ নভেম্বর একটি টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “আমি প্রথম দিন থেকেই বলছি, এই কোর্ট আমি মানি না।” উপস্থাপকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও উল্লেখ করেন যে ইউটিউব ও বিভিন্ন টকশোতেও তিনি এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।
প্রসিকিউশনের দাবি, ওই টকশোতে তিনি আদালত ও ট্রাইব্যুনালের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক মানহানিকর মন্তব্য করেন, যা আদালতের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে।
নিঃশর্ত ক্ষমা গ্রহণের মাধ্যমে আদালত এ অভিযোগ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দিলেও সতর্ক করে দিয়েছে, ভবিষ্যতে এমন মন্তব্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন হিসেবে গণ্য হবে।
সিএ/এএ


