ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তপশিল এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চূড়ান্ত করতে আগামীকাল রোববার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তপশিল ঘোষণার আগের এ বৈঠকে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা, প্রস্তুতি ও ভোটের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত থাকবেন। এটি বর্তমান কমিশনের দশম বৈঠক।
বৈঠকের আলোচ্যসূচি
ইসির নির্ধারিত এজেন্ডায় রয়েছে ১০টি বিষয়—
তপশিল
তপশিলের আগে ও পরের কার্যক্রম
গণভোট আয়োজন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি
মাঠপর্যায় যোগাযোগ, সমন্বয় ও মতবিনিময়
বাজেটসহ অন্যান্য প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, রোববারের সভায় জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের তপশিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এরপর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তপশিল চূড়ান্ত করা হবে। তপশিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দুই ভোটের রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নাম প্রজ্ঞাপনে প্রকাশ করা হবে।
গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসছে
ইসি সূত্র জানায়, বৈঠকে আরও যে বিষয়গুলো পর্যালোচনা হবে—
ভোটগ্রহণ সময়সীমা নির্ধারণ
ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষ বা বুথ সংখ্যা বাড়ানো
মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই ও প্রত্যাহারের শেষ সময়
পোস্টাল ব্যালটের পরিবহন সময়
নির্বাচন বাজেট ও সার্বিক প্রস্তুতির অগ্রগতি
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধের জন্য নির্বাচন প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক শেষ হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ১০ ডিসেম্বর সিইসি ও কমিশনাররা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর তপশিল ঘোষণা করা হবে।
তবে এবার বিশেষ পরিস্থিতির কারণে রাষ্ট্রপতির আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও ইসি সাক্ষাৎ করতে পারে বলে জানা গেছে।
সব ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহেই তপশিল ঘোষণা করে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সিএ/এএ


