উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। গত কয়েকদিন ধরেই জেলায় তাপমাত্রা কমছে, ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। শনিবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের প্রভাব বাড়ার সাথে সাথে ঠাণ্ডাজনিত রোগে শিশু ও বৃদ্ধদের দুর্ভোগও বৃদ্ধি পেয়েছে। ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রোগীর চাপ স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুত বাড়ছে। হাসপাতালে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে গেছে বলে জানান তত্ত্বাবধায়ক ফিরোজ্জামান জুয়েল।
রোজগারের তাগিদে ভোরে কাজের জন্য বের হওয়া দিনমজুর মোখলেস আলী বলেন, “গত দুই দিন ভোরের বাতাস এতটাই ঠাণ্ডা যে হাত–পা অবশ হয়ে আসে। কাজ করতেও কষ্ট হয়, শরীরও ভালো থাকে না।”
সকালের ঘন কুয়াশায় ভোগান্তির শিকার মোটরসাইকেলচালকরাও। রবিউল ইসলাম বলেন, “সকালবেলায় রাস্তাই দেখা যায় না। পুরো সাদা কুয়াশা। বাইক চালাতে খুব ভয় লাগে। কয়েকবার পিছলে পড়ে যেতে যেতে বেঁচেছি।”
রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা ফারজানা সুলতানা জানান, “গত কয়েকদিন ধরে ঠাকুরগাঁওয়ে তাপমাত্রা ক্রমশ কমছে। আজ সকালে জেলার তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।”
সিএ/এএ


