বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে লন্ডনে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে কাতার সরকার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে সম্মতি জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকায় কাতার দূতাবাস আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের কাছে নিশ্চিত করেছে।
কাতারের সম্মতির প্রেক্ষাপট
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় কাতার দূতাবাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৩০ নভেম্বরের কূটনৈতিক নোটের জবাবে আজ সকালে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে প্রস্তুতির বিষয়টি জানায়।
এর আগে—
- ২৯ নভেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরাইয়া আলী আল কাহতানির কাছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের অনুরোধ জানান।
- ৩০ নভেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জরুরিভিত্তিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করার অনুরোধ পাঠায়।
কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, সফরসঙ্গীদের তালিকা এবং যাত্রার সময়সূচি দ্রুত কাতার দূতাবাসে পাঠাতে হবে।
আগের যাত্রার নজির
গত জানুয়ারিতে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাতায়াতের সময় খালেদা জিয়ার জন্য কাতার রয়েল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের সহযোগিতা দেয় কাতার সরকার।
- জানুয়ারি: ঢাকা → লন্ডন
- মে: লন্ডন → ঢাকা
উভয় যাত্রাই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সম্পন্ন হয়।
বর্তমান শারীরিক অবস্থা
২৩ নভেম্বর রাতে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ার পর তাঁর শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
তাঁকে দেখতে প্রতিদিনই দলীয় নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ভিড় করছেন।
চিকিৎসায় যুক্ত বিশেষজ্ঞরা
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় এখন কাজ করছেন—
- বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা
- যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস হাসপাতালের চিকিৎসক
- লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞরা
- চীন থেকে আগত দুই দফার মেডিকেল টিম
- বুধবার ঢাকায় পৌঁছানো যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রিচার্ড বিয়েল
চীন থেকে আসা চার সদস্যের নতুন চিকিৎসক দলও বুধবার রাতে ঢাকায় এসে এভারকেয়ার হাসপাতালে যোগ দেয়।
সারসংক্ষেপ
কাতার সরকারের আনুষ্ঠানিক সম্মতির ফলে খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার প্রক্রিয়া এক ধাপ এগিয়েছে। প্রয়োজনীয় নথিপত্র সম্পন্ন হলে যেকোনো সময় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় পৌঁছাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।


