প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বোধের শৈল্পিক পরিচর্যায় আবৃত্তি এখন মনন জাগরণের শিল্পচর্চায় এক সৃজনশীল মাধ্যম। যেখানে সংস্কৃতির পরিসর প্রসারে বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম পুরোধা এক সংগঠন। যেখানে সাংগঠনিক ব্যপ্তি ছাড়িয়ে কখনো কখনো বোধনের আবৃত্তিশিল্পী একক ও দলীয় পরিবেশনায় এ জনপদে গণমানুষের কথা কণ্ঠ ধারণ করে শব্দের সঙ্গিন অনন্য ধারাবাহিকে এগিয়ে চলছেন। তেমনি এক দায়বদ্ধতায় একক আবৃত্তিসন্ধ্যা আজ সন্ধ্যে সাড়ে ছয়টায় নগরীর থিয়েটার ইন্সটিটিউট চট্টগ্রাম এর গ্যালারী হলে বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম আয়োজন করেছে “জাগাও প্রাণের সুপ্ত শক্তি” ৩৯ পর্বের।
এ পর্বে এবারের আবৃত্তিশিল্পী বোধনের সাজেদুল আনোয়ার, শ্রেয়সী স্রোতস্বিনী, পিংকী চৌধুরী, শুভ রক্ষিত, লিমা চৌধুরী এবং বন্ধুসংগঠন শব্দনোঙর আবৃত্তি সংগঠনের আবৃত্তিশিল্পী সঞ্জয় ধর সুন্দর।
এ পর্বে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় লোক প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর হোসাইন কবির এবং মঞ্চমুকুট নাট্য সম্প্রদায়ের সভাপতি সুচরিত দাশ খোকন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম এর সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল আজিজ।
আবৃত্তিশিল্পী পলি ঘোষ’র সঞ্চালনায় শুরুতে একক আবৃত্তিতে একক শিল্পীস্বত্তার মানসে প্রাণ জাগিয়ে তোলেন আবৃত্তিশিল্পী শ্রেয়সী স্রোতস্বিনী। তিনি আবৃত্তি করেন কবি শ্যামল কান্তি দাশ’র আজ টুকটুকির বিয়ে, সুশোভন চৌধুরীর হেমন্তে নিশিথে এবং শুভ দাশগুপ্ত’র আমি সেই মেয়ে।
এরপর আবৃত্তিশিল্পী সাজেদুল আনোয়ার কণ্ঠে প্রাণ ছুঁয়ে কবি সৈয়দ শামসুল হক’র আমার পরিচয় এবং রোকনুজ্জামান খান’র বর্গি তাড়ানোর গান। আবৃত্তির এ অবিপণনেয় শিল্পের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে বোধনের মঞ্চে এবার যুথবদ্ধতায় সামিল হন আবৃত্তির বন্ধু সংগঠন শব্দনোঙর আবৃত্তি সংগঠনের আবৃত্তিশিল্পী সঞ্জয় ধর সুন্দর। তিনি রবি ঠাকুরের হঠাৎ দেখা, বিজন শর্মা’র “কি বাঁশি বাজাইলা তুমি” কবিতায় সৃজন জাগরণে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন।
বোধনের আঁধার ভেঙে আলোর বুননের এ যাত্রায় তেত্রিশ বছর পার করছে। যেখানে এবারের জাগাও প্রাণ প্লাটফরম অন্যরকম আবহ বিরাজমান ছিলো। এ পর্যায়ে আবৃত্তিশিল্পী পিংকী চৌধুরী পরিবেশনায় ছিলো কবি প্রনব ঘোষ’র টুনি, শামসুর রাহমান’র একটি ফটোগ্রাফ এবং কবি কামাল চোধুরী’র নিয়াজী যখন আত্মসমর্পণ লিখছে” কবিতাটি।
আবৃত্তিশিল্পের প্রতি ভালোবাসার স্থিত মুহূর্ত কবির কবিতায় ব্যক্ত করেন আবৃত্তিশিল্পী লিমা চৌধুরী। তিনি আবৃত্তি করেন কবি হেলাল হাফিজের ” ইদানীং জীবনযাপন” তসলিমা নাসরিনের মানুষ এই শব্দটি আমাকে আলোড়িত করে” এবং ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের “দূর্গা হাসেন দূর্গা কাঁদে এবং শামসুর রাহমান’র “বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে ” কবিতায় প্রাণময় মুহূর্ত উঠে এসেছে।
আবৃত্তিশিল্পী শুভ রক্ষিত এ জাগাও প্রাণ মঞ্চে দ্বিতীয়বার। এবারের আয়োজনে তিনি আবৃত্তি করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের” পৃথিবী ও সোজাসুজি, সিকানদার আবু জাফরের বাঙলা ছাড়ো, আনন্দ মোহন রক্ষিত” আমার অস্তিত্ব আমার ঠিকানা, আবু হাসান শাহরিয়ারের” একলব্যের পুনরুত্থান” কাজী নজরুল ইসলাম”বিজয়িনী” ও বারাঙ্গানা, লুৎফর রহমান রিটনের”গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন? না এবং কামরুল হাসান বাদলের উত্তরাধিকার কবিতা।