২০১৪ সালে নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নাহ পরিচালনায় শেষ দৃশ্যের অপেক্ষায় নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয়ে যাত্রা শুরু করেন এই তরুণ অভিনেতা। অভিনয়ের পাশাপাশি একটি এয়ারলাইন্সেও কর্মরত হিসেবে আছেন তিনি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য কিছু কাজ হলো; আপেল সূত্র,বোন,মানুষ হবো, বাবার ছেলে,ডেডবল,ব্রাদার্স। ক্লোজ আপ কাছে আসার অসমাপ্ত গল্পে এবার অভিনয় করতে দেখা যাবে এই অভিনেতা কে নাটকটি নির্মাণ করেছেন অনম বিশ্বাস। ভালোবাসা দিবসে অন্যান্য কাজগুলো নিয়ে কথোপকথন হয় তার সাথে…..
সীমান্ত: বর্তমানে যে কাজগুলো করছেন সেগুলো নিয়ে বলতেন যদি?
সায়েদ জামান শাওন: এবার ভালোবাসা দিবসটা আমার জন্য অনেকটা ভিন্ন ধরনের। এই বার ক্লোজ আপ কাছে আসার অসমাপ্ত গল্পের একটা গল্পে কাজ করছি। নাটকটি পরিচালনা করেছে অনম বিশ্বাস ভাইয়া। অসম্ভব যত্ন নিয়ে আমরা কাজটা করছি। এছাড়া আমার সহ অভিনেত্রী হিসেবে আছে সাফা কবির। এছাড়াও রুমান রনি ভাইয়ের পরিচালিত প্রজাপতি পাখা একটা নাটক আসছে এবারের ভালোবাসা দিবসে আমার সহ অভিনেত্রী হিসেবে আছে শবনম ফারিয়া। এছাড়াও একটা মিউজিকাল শর্ট ফিল্ম এবং একটি মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছি৷ গানটি গেয়েছে মিনার রহমান।
সীমান্ত: ভালোবাসা দিবসে আপনার কি কি কাজ পাবে দর্শকেরা?
সায়েদ জামান শাওন: যার কোন শেষ নেই,প্রজাপতি পাখা, দুইটা মিউজিক ভিডিও।
সীমান্ত: একসাথে অভিনয় করা আর এয়ারলাইন্সে কাজ করা সম্ভব হয় কিভাবে?
সায়েদ জামান শাওন: কাজটা আমার জন্য সত্যিই সহজ নয়। এয়ারলাইনসের জবটা অপারেশনাল জব যেকোনো সময় কাজের জন্য কল আসতে পারে। এছাড়াও আমার অফিসের সকলেই আমাকে সবসময়ই অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকে।পরিশেষে একটা কথাই বলতে হয় যদি একদিন ২৪ ঘন্টা না হয়ে ৪৮ঘন্টা হতো আর একমাস সমান ৩০ দিন না হয়ে ৪০ দিন হত তাহলে আমার জন্য কাজগুলা করা আরো সহজ হয়ে যেতো।
সীমান্ত: একজন অভিনেতা হিসেবে আপনি নাটক করার আগে কোন বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন?
সায়েদ জামান শাওন: সবচেয়ে আগে প্রাধান্য দিয়ে থাকি গল্পে তারপর প্রাধাণ্য দিয়ে থাকি যে চরিত্রটা আমাকে চরিত্রায়ন করতে হবে তাতে।
সীামন্ত: কোন চরিত্রে অভিনয় করতে বেশি সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?
সায়েদ জামান শাওন: সকল চরিত্রে অভিনয় করতেই আমি সাচ্ছন্দ্য বোধ করি তা হোক নিম্নবিত্ত ঘরের ছেলের চরিত্র কিংবা বড় লোক পরিবারের ছেলের চরিত্র কিংবা মেধাবী শিক্ষার্থীর চরিত্র। আর আমি যেহেতু অভিনয়শিল্পী তাই আমার সকল চরিত্রেই অভিনয় করা উচিত বলে আমি মনে করি।
সীমান্ত: যদি সুযোগ আসছে চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন কি?
সায়েদ জামান শাওন: সুযোগ পেলে অবশ্যই করবো একজন অভিনেতার জন্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করার স্বপ্ন সবসময়ই থাকে। সুযোগটা আমার এসেছে কিন্তু আমি এখন যেতে চাচ্ছি নাহ নিজেকে আরো প্রস্তুত করতে চাই যেন দর্শক টিকেট কেটে আমার কাজ দেখতে গিয়ে যাতে হতাশ নাহ হয়।
সীমান্ত: একদিনের জন্য যদি নির্মাতা হন তবে কোন কোন অভিনেতা / অভিনেত্রী কে নিয়ে নাটক নির্মাণ করবেন?
সায়েদ জামান শাওন: খুবই কঠিন প্রশ্ন এটা যদি নাটক নির্মাণ করতে বলেন তবে আমি অবশ্যই বলবো যদি সিনিয়র আর্টিস্টের ক্যারেক্টার থাকে তবে আলী জাকের স্যার তার অভিনয় আমার অসম্ভব ভালো লাগে যেকোনো চরিত্র তিনি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া সুবর্ণা মোস্তফা ম্যাম কে। নতুনদের মধ্যে জোভান কে, এছাড়া আরজে ফারহান, আরজে ইভানকে আর মেয়েদের মধ্যে সাবিলা নূর,শাবনম ফারিয়া, সাফা কবির। এছাড়া আমি একটা চরিত্রে অভিনয় করাতে চাই পরিচিত পরিচালক ইফতেখার আহমেদ ফাহমী ভাইকে।
সীমান্ত: ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী?
সায়েদ জামান শাওন: আসলে আমি পরিকল্পনা করে খুবই কম কাজ করি কেননা আমার সামনে যে কাজটা থাকে সেটা মনোযোগ দিয়ে করার চেষ্টা। ইদানিং আমার মাথায় অভিনয় শেখার ভূত চেপেছে। অভিনয়টা ভালো মত শিখতে চাই সেটা হোক কোন গ্রুপ থিয়েটারে কিংবা যদি সম্ভব হয় কলকাতায় গিয়ে অভিনয়টা শেখার চেষ্টা করবো। আরো ভালো কাজ করতে চাই আমি চাই মানুষ আমাকে শাওনা নাম না চিনুক মানুষ আমার ক্যারেক্টার টা সারাজীবন মনে রাখুক। দুইটা চ্যানেলের সাথে কথা হচ্ছে একটা ট্রাভেলিং শো এর হোস্টিং এর ব্যাপারে দেখা যাক কি হয়।
সাক্ষাতকার নিয়েছে: গোলাম মোর্শেদ সীমান্ত