অতীতের জানালা ডেস্ক:
আমরা সবাই জানি আজম খান কে ছিলেন। কেন তিনি আজম খান হয়ে উঠেছিলেন সেটাও জানি। আজকে আমরা অন্য এক আজম খানের সাথে পরিচিত হব।
‘মোহাম্মাদ মাহবুবুল হক খান’ তাঁর আসল নাম। একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধকালে তাঁর বাবা ছিলেন পাকিস্তান সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। বাবার অনুপ্রেরণায় অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধে। হেঁটে যান আগরতলা পর্যন্ত। ইচ্ছা ছিল খালেদ মোশারফের সেক্টরে যুদ্ধ করবেন। মেলাঘরে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর কুমিল্লায় সমুখ সমরে অংশ নেন। প্রথম যুদ্ধ করেন কুমিল্লার সালদায়। তারপর আবার আগরতলায় ফিরে যান। আগরতলা থেকে এবার পাঠানো হয় ঢাকায়। গেরিলা যুদ্ধের জন্য। খালেদ মোশারফের সেক্টরের একটা সেকশনের ইন-চার্জ হন তিনি।
ঢাকায় তিনি সেকশান কমান্ডার হিসেবে ঢাকা ও এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি গেরিলা আক্রমণে অংশ নেন। তিনি যাত্রাবাড়ি-গুলশান এলাকার গেরিলা অপারেশনগুলো পরিচালনার দায়িত্ব পান। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল তার নেতৃত্বে সংঘটিত “অপারেশান তিতাস”। তাদের দায়িত্ব ছিল ঢাকার কিছু গ্যাস পাইপলাইন ধ্বংস করার মাধ্যমে বিশেষ করে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল (বর্তমান শেরাটন হোটেল), হোটেল পূর্বাণী’র গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটানো। তাদের লক্ষ্য, ঐ সকল হোটেলে অবস্থানরত বিদেশীরা যাতে বুঝতে পারে যে দেশে একটা যুদ্ধ চলছে। এই অপারেশনে তিনি তার বাম কানে আঘাতপ্রাপ্ত হন। তিনি সঙ্গীদের নিয়ে পুরোপুরি ঢাকায় প্রবেশ করেন ১৯৭১-এর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। এর আগে তারা মাদারটেকের কাছে ত্রিমোহনীতে সংগঠিত যুদ্ধে পাক সেনাদের পরাজিত করেন।
তাঁর অন্য আরেকটা নাম আছে। আছে আরো একটা পরিচয়। তিনি আজম খান। আমাদের গুরু আজম খান। ‘আজম খান’ এই দুটো শব্দের নামটাই যথেষ্ট।
পপ সম্রাট বীর মুক্তিযোদ্ধা আজম খান ১৯৫০ সালের আজকের এইদিনে জন্মগ্রহণ করেন। চ্যানেল আগামীর পক্ষ থেকে এই বীরকে স্মরণ করছি গভীর শ্রদ্ধার সাথে।
– হাসান ইনাম