বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, জানুয়ারি মাসেই ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালু হতে পারে। রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এই আশা প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকালে উভয় পক্ষ দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও বিমান চলাচলে সহযোগিতা সম্প্রসারণের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত ও চিকিৎসা খাতে পারস্পরিক বিনিময় বাড়ানোর উপায় নিয়ে মতবিনিময় হয়।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।’ তিনি জানান, উভয় দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় নতুন বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত বিনিময়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার সুযোগের প্রতি বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বিশেষ করে চিকিৎসা বিজ্ঞান, ন্যানোটেকনোলজি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে তাদের আগ্রহ বেশি।
চিকিৎসা সহযোগিতার বিষয়ে হাইকমিশনার জানান, পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালে লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য বাংলাদেশ থেকে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। পাশাপাশি পাকিস্তান চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও একাডেমিক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মিথস্ক্রিয়াকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভ্রমণ বৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত ও জনগণের মধ্যে বিনিময় জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রফেসর ইউনূস বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্য আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের মেয়াদকালে বিনিয়োগ ও যৌথ উদ্যোগের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে বলে তিনি আশাবাদী। বৈঠকে এসডিজি সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।
সিএ/এএ


