বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় একটি ঘর থেকে মা ও তার কিশোরী মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার জোরগাছা ইউনিয়নের শিচারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য ও শোকের আবহ বিরাজ করছে।
নিহতরা হলেন শিচারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা চায়না খাতুন (৩২) এবং তাঁর মেয়ে খাদিজা (১৫)। চায়না খাতুন স্থানীয় শিচারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী ও নৈশপ্রহরী কামরুজ্জামানের স্ত্রী। খাদিজা স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার জুমার নামাজের পর পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ফিরে ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পান। দীর্ঘ সময় ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন তাঁরা। তখন ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মা ও মেয়েকে ঝুলতে দেখা যায়। পরে দ্রুত সোনাতলা থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মা ও মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রতিবেশীদের উপস্থিতিতে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সদরুল আমীন লিমন বলেন, চায়না খাতুন ও তাঁর মেয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতেন। এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা কারও কল্পনায় ছিল না। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
প্রতিবেশী মৌসুমী বলেন, চায়না খাতুন ছিলেন শান্ত ও ভদ্র স্বভাবের মানুষ। সকালে তাঁদের কারও আচরণে অস্বাভাবিক কিছু চোখে পড়েনি। এ ঘটনায় পুরো গ্রাম স্তব্ধ হয়ে গেছে।
সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া জরুরি। ঘটনার পেছনে পারিবারিক কলহ, মানসিক চাপ বা অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা প্রক্রিয়াধীন।
সিএ/জেএইচ


