ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ঘটনার দিন তাঁকে বহনকারী অটোরিকশাচালক মো. কামাল হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আদালত সূত্র জানায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার দিন মো. কামাল হোসেনের অটোরিকশায় করেই শরিফ ওসমান বিন হাদি মতিঝিলের খলিল হোটেল এলাকা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশে রওনা দেন। যাত্রাপথেই তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে আরও বলা হয়, অটোরিকশাচালক মো. কামাল হোসেন পুরো ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে আদালতে নিজের বক্তব্য দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করা জরুরি ছিল।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে নির্বাচনী প্রচারণার সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান বিন হাদি। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর রাতে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়। এজাহারে হত্যার পরিকল্পনাকারী, অর্থের জোগানদাতা ও পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়। পরে শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু হলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়।
এদিকে, গুলির ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৪ ডিসেম্বর র্যাব ফয়সাল করিমের স্ত্রী, শ্যালক ও এক বান্ধবীকে গ্রেপ্তার করে। তবে ঘটনার মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ এখনো পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সিএ/জেএইচ


