কয়েক লাখ নেতা–কর্মী ও সাধারণ মানুষের ভিড় ঠেলে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাজধানীর পূর্বাচলের গণসংবর্ধনাস্থলে পৌঁছাতে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৪১ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমানকে বহনকারী গাড়িবহর পূর্বাচলের গণসংবর্ধনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে বিপুল জনসমাগম ও নিরাপত্তাজনিত কারণে বহরটি ধীরগতিতে অগ্রসর হয়। দীর্ঘ সময় ভিড়ের মধ্য দিয়ে চলার পর বেলা ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে তারেক রহমানের গাড়িবহর সভামঞ্চের কাছাকাছি পৌঁছায়।
তবে গাড়ি সামনে এগোনো সম্ভব না হওয়ায় বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে তারেক রহমান গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে সভামঞ্চে ওঠেন। এ সময় চারপাশে অবস্থান নেওয়া নেতা–কর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে পুরো এলাকা মুখর করে তোলেন।
এর আগে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট দিয়ে বের হন তারেক রহমান। তিনি লাল-সবুজ রঙের একটি বাসের সামনে দাঁড়িয়ে নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান ও সালাম গ্রহণ করেন। বাসটির সামনে লেখা ছিল— ‘সবার আগে বাংলাদেশ’।
বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে আগত বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পর থেকেই তারেক রহমানকে একনজর দেখতে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েজুড়ে বিএনপি নেতা–কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়।
গাড়িবহর ঘিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পুরো পথজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়, আর বাঁধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়ে দলীয় নেতা–কর্মী ও সাধারণ মানুষ।
সিএ/জেএইচ


