শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি লিগে শারজা ওয়ারিয়ার্সের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ। আবুধাবি নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে বল হাতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন তিনি, যা শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চকর জয়ের ভিত গড়ে দেয় শারজার জন্য।
বল হাতে চলতি সময়টা বেশ ভালোই যাচ্ছে তাসকিন আহমেদের। ইন্টারন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি লিগে সর্বশেষ তিন ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ৭ উইকেট। সব মিলিয়ে পাঁচ ম্যাচে তাঁর শিকার ৮ উইকেট। ধারাবাহিক এই পারফরম্যান্সে শারজা ওয়ারিয়ার্সের বোলিং আক্রমণে ভরসার নাম হয়ে উঠছেন এই বাংলাদেশি পেসার।
এই ম্যাচে আবুধাবি নাইট রাইডার্স প্রথমে ব্যাট করে তোলে ১৩৪ রান। লক্ষ্য তাড়ায় শারজা ওয়ারিয়ার্স শেষ বল পর্যন্ত গড়ানো এক নাটকীয় ম্যাচে ৪ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১২ রান। ক্রিজে থাকা ইংলিশ ক্রিকেটার জেমস রিউ ও আদিল রশিদ আন্দ্রে রাসেলের করা ওভারে সমীকরণ মিলিয়ে ফেলেন।
তাসকিন আহমেদ যদিও এই ম্যাচে কিছুটা খরুচে ছিলেন। চার ওভারে তিনি রান দেন ৪১। তবে শুরুটা ছিল দারুণ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্টকে আউট করেন তিনি। নিজের পরের ওভারেই ফেরান আরেক ইংলিশ ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলসকে।
শারজা অধিনায়ক সিকান্দার রাজা পাওয়ার প্লের মধ্যেই তাসকিনকে দিয়ে করান তিন ওভার। এই তিন ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন তাসকিন, যা নাইট রাইডার্সের ইনিংসের গতি অনেকটাই থামিয়ে দেয়।
তবে ম্যাচের ১৯তম ওভারে এসে চাপের মুখে পড়েন তাসকিন। নিজের কোটার শেষ ওভারে তিনি দেন ২৫ রান। সেই ওভারে আন্দ্রে রাসেল ও জেসন হোল্ডার দুটি করে মোট চারটি ছক্কা হাঁকান। এই ওভারটির কারণেই তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান কিছুটা খরুচে হয়ে ওঠে।
তাসকিনের দলের হয়ে সেরা বোলার ছিলেন স্পিনার আদিল রশিদ। চার ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন তিনি। দুর্দান্ত এই বোলিং পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কারও জেতেন আদিল রশিদ। আট ম্যাচ শেষে এটি শারজা ওয়ারিয়ার্সের তৃতীয় জয়।
সিএ/বিই


