রুশাইদ আহমেদ, বেরোবি:
উন্নয়ন কার্যক্রম চর্চার প্রসার এবং একাডেমিক জ্ঞানের সম্মিলন ঘটাতে দাতব্য সংস্থা ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের ‘এলিমিনেশন অব এক্সট্রিম পোভার্টি (ইইপি)’ প্রকল্পের আওতায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা কুড়িগ্রামে একটি মডেল শেয়ারিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রাম সদরের প্রকল্প এলাকায় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাতজন শিক্ষক ও ১৮ জন শিক্ষার্থীর একটি প্রতিনিধিদল দিনব্যাপী এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
আয়োজকদেরর ভাষ্য়মতে, কর্মশালাটির মূল লক্ষ্য ছিল দারিদ্র্য বিমোচনের এই উদ্ভাবনী মডেলটি একাডেমিক পর্যায়ে প্রচার এবং এর প্রভাব ও ভবিষ্যৎ সমাজবিজ্ঞানীদের কাছে উপস্থাপন করে সংশ্লিষ্টদের মতামতের মাধ্যমে এর কার্যকারিতা যাচাই করা।
কর্মশালার কার্যক্রমে ছিল প্রকল্পের বিস্তারিত অনুষঙ্গসমূহ উপস্থাপন, মাঠপর্যায়ে স্ব-সহায়ক দল পরিদর্শন এবং সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্রকল্পের তৃণমূল পরিসরের কাজ ও এর সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ধারণা লাভ করেন বলে উল্লেখ করেন সংস্থাটির সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে, ইইপি প্রকল্পের প্রোজেক্ট ম্যানেজার ড. মো. কামরুল ইসলাম বলেন, “একাডেমিয়া ও মাঠপর্যায়ের উন্নয়ন কাজের মধ্যে সংযোগ স্থাপন জরুরি। ভবিষ্যৎ সমাজবিজ্ঞানীদের সাথে আমাদের মডেল শেয়ার করা শুধু তাদের জ্ঞানই বাড়ায় না, চরম দারিদ্র্য দূরীকরণে গবেষণা ও কার্যকর সমাধান খুঁজতেও নতুন পথ দেখায়।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য এ ধরনের মাঠপর্যায়ে শেখার সুযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি সফল দারিদ্র্য বিমোচন মডেল সরেজমিনে দেখা তাদের পাঠ্যসূচির জ্ঞানকে পূর্ণতা দেয়। এটি শিক্ষার্থীদের জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে আরও অনুপ্রাণিত করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
উল্লেখ্য, ইসলামিক রিলিফ ইউকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত ৪৮ মাসব্যাপী ইইপি প্রকল্পটি কুড়িগ্রাম সদর ও রাজারহাটে চলমান রয়েছে। প্রকল্পটির লক্ষ্য বহুমাত্রিক দারিদ্র্য নিরসন, অর্থনৈতিক টেকসইতা অর্জন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং প্রায় ৬,০০০ চরম দরিদ্র পরিবারের অধিকার সুদৃঢ় করা।


