রাজধানীর বাজারে প্রতিদিন ওঠানামা করছে সবজি, ডিম, চাল–ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম। কিন্তু মাছের ক্ষেত্রে সেই পরিবর্তন মিলছে না। খুচরা বাজারে মাছের দাম একবার বাড়লে তা আর কমার নামই নেয় না—এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। পাইকারি বাজারে সামান্য ওঠানামা দেখা গেলেও, তা খুচরা দামে প্রতিফলিত হয় না। ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি যেন ক্রমেই বাড়ছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মাছের দাম আগের চেয়ে বেশি। দু–এক ধরনের মাছ ছাড়া সব ধরনের মাছই ক্রেতাদের নাগালের বাইরে উঠে গেছে। বিভিন্ন বাজারের বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছের দাম স্থির থাকে না, বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়ছে।
আজকের বাজারে মাঝারি সাইজের রুই মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কই মাছ প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, চাষের শিং ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া আকারভেদে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা এবং পাবদা মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বড় সাইজের চিংড়ি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে পাওয়া গেছে। পাঙাস মাছ ১৮০ টাকা, শোল ৮০০ টাকা, টেংড়া ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং মলা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
শুধু মাছ নয়—মুরগি ও মাংসের বাজারেও চড়া দাম বজায় রয়েছে। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, সোনালী ২৮০ টাকা, লেয়ার ৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
শান্তিনগর বাজারে কেনাকাটা করতে আসা মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সবকিছুর দাম ওঠানামা করে, কিন্তু মাছের দাম কখনো কমে না। পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, চাষের কই বাদ দিলে অন্য মাছের দাম সবসময়ই বেশি থাকে। এই দামে মাছ খাওয়া খুবই কষ্টকর।’
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা শহিদুল ইসলামও একই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘মাছের অতিরিক্ত দামের কারণে ঘুরেফিরে একই কয়েক ধরনের মাছই কিনতে হয়। বছরের কোনো সময়েই মাছের দাম কমতে দেখি না।’
অন্যদিকে রামপুরা বাজারের মাছ বিক্রেতা নাজমুল হক রানা বলেন, মাছের খাবারের দাম বাড়ার পর থেকেই বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। পরিবহন খরচ, আড়ত–বাজারের খরচসহ বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে মাছ ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে পৌঁছাতে দাম আরও বৃদ্ধি পায়। ফলে খুচরা বাজারে আগের মতো দাম কমানোর সুযোগ থাকে না।
সিএ/এএ


