আবারও পুরনো ছন্দে ফিরেছেন ভারতের তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি। রাঁচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮৩তম শতক করার পর পরদিন রায়পুরে আরেকটি সেঞ্চুরি—সেঞ্চুরির সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪। আর এ ধারাবাহিকতার পরই আবারও জোরালো হয়েছে সেই বহুচর্চিত প্রশ্ন—কোহলি কি পারবেন ১০০ আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি স্পর্শ করতে?
বর্তমানে কোহলি কার্যত এক ফরম্যাটের ক্রিকেটার। টেস্ট ও টি–টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ায় এখন তার মূল মঞ্চ ওয়ানডে ক্রিকেট। ফরম্যাটের ক্যালেন্ডার ছোট হলেও এখানেই লুকিয়ে আছে সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা। ভারতের ২০২৭ সাল পর্যন্ত সফরসূচি অনুযায়ী কোহলির সামনে রয়েছে অন্তত ২৯টি ওয়ানডে ম্যাচ। বিশ্বকাপ মিলিয়ে এই সংখ্যা বেড়ে হতে পারে প্রায় ৩৫।
তবে হিসাব সহজ নয়—এই স্বপ্ন ছুঁতে কোহলির আরও ১৬টি সেঞ্চুরি প্রয়োজন।
কিন্তু তিনি যখন বিরাট কোহলি, পরিসংখ্যান বলে—এটা অসম্ভবও নয়।
২০১৭ থেকে ২০১৯ সময়কালে ৬৫ ইনিংসে কোহলি করেছিলেন ১৭টি সেঞ্চুরি—প্রতি ৩.৮ ইনিংসে একটি। সাম্প্রতিক ১৯ ওয়ানডে ইনিংসেও আছে ৫ সেঞ্চুরি, হার একই—প্রতি ৩.৮ ইনিংসে একটি।
১০০ সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে হলে তাকে চাই প্রতি ২.১ ইনিংসে একটি শতক—অর্থাৎ নিজেকেই ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো ধারাবাহিকতা।
কোহলির ক্যারিয়ারে স্ট্রিক নতুন কিছু নয়। টানা সেঞ্চুরির ১১টি ধারাবাহিক সিরিজ আছে তার। রাঁচি ও রায়পুরের ব্যাটিং ইঙ্গিত দিচ্ছে—সেই ‘স্ট্রিক-মোড’ হয়তো আবার জেগে উঠছে।
আবার বাস্তবতাও আছে। ২০২৭ বিশ্বকাপে কোহলির বয়স হবে ৩৮। শারীরিক চাপ, তরুণদের জায়গা করে দেওয়া—সবকিছু বিবেচনায় প্রতিটি ম্যাচই তার সামনে প্রাপ্য সুযোগ এনে দেবে না।
তবুও আশা এখনো টিকে আছে। কারণ—কোহলির ক্ষেত্রে কখনোই চূড়ান্তভাবে ‘না’ বলা যায় না। তিনি বহুবার ক্রিকেট যুক্তিকে ভুল প্রমাণ করেছেন—হোবার্ট, মুম্বাই, মেলবোর্নের অসাধারণ সব ইনিংসে।
রাঁচি ও রায়পুরের পর ১০০ সেঞ্চুরির দৌড় যেন আবার নতুন প্রাণ পেয়েছে।
শত সেঞ্চুরি হোক বা না–হোক—অসম্ভবকে সম্ভবের আলোয় নিয়ে আসতে পারেন যদি কেউ, তিনি একমাত্র বিরাট কোহলি।


