ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, হাজার হাজার ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ কেবল ক্ষমতার পালাবদলের জন্য নয়—বরং বিদেশি প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে তারা লড়াই করেছে। তিনি বলেন, দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকেই মানুষ রাজপথে নেমেছে; ইসলামের ও মানবতার পক্ষে জনগণ নির্বাচনেই তাদের পছন্দের নেতৃত্ব বেছে নেবে।
বুধবার রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে সমমনা আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে পাঁচ দফা দাবি—জুলাই সনদের বাস্তবায়ন, নির্বাচনের আগে গণভোটসহ অন্যান্য দাবি তুলে ধরা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
চরমোনাই পীর বলেন, ক্ষমতালোভীরা বহুবার ক্ষমতায় এসেছে; এবার জনগণ তাদের প্রতারণা বুঝে গেছে। তিনি আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর মানুষ আশা করেছিল দেশের সংস্কার ও দুর্নীতি রোধ হবে, কিন্তু সংস্কার না করেই কিছু ব্যক্তি ক্ষমতায় যাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। আবু সাঈদ দেশের স্বার্থে ফ্যাসিস্টদের বিদায় করেছেন, চাঁদাবাজ বা লোভীদের ক্ষমতায় তোলার জন্য নয়। জনগণ এবার ক্ষমতালোভীদের বিদায় করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সমাবেশে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, জুলাই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশ দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করলেও সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। মানুষের কল্যাণ ও ইসলামের আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করার আহ্বান জানান তিনি। তাঁর ভাষ্য, আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন হলে জীবন দিতেও তারা প্রস্তুত।
পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার করতে হবে; রাষ্ট্রের সংস্কার জরুরি—ভালোকে গ্রহণ করতে হবে এবং খারাপকে বাদ দিতে হবে। অতীতে ভোট ডাকাতির উদাহরণ টেনে তিনি স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এটিএম আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, শেখ সালাহউদ্দিন, মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের খান, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতি মাহমুদুল হাসান, ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলামসহ আরও অনেকে।


