বরিশালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতির মধ্যেও শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষকদের কর্মসূচির কারণে পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ হলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা নিজ উদ্যোগে পরীক্ষা নেন।
বুধবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আন্দোলনের কারণে তা দেরিতে—বেলা ১১টায় শুরু হয়।
এর আগে সকালে বরিশাল নগরীর গির্জামহল্লা এলাকার ৮৮ নম্বর ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভে নামে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। তারা শিক্ষকদের অফিসকক্ষে তালা ঝুলিয়ে বিদ্যালয়ের সামনে ব্যস্ত গির্জামহল্লা সড়ক অবরোধ করেন। এতে ওই এলাকায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে বিক্ষুব্ধ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের চাপে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অভিভাবকদের অভিযোগ, পরীক্ষা স্থগিত থাকলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই জানাতে পারত। কিন্তু স্কুলে এসে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া ‘অন্যায়’—এ কারণেই তারা প্রতিবাদে নেমেছেন বলে জানান।
অন্যদিকে আন্দোলনরত সহকারী শিক্ষকরা বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাঁরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঞ্জুমান আরা বলেন, সহকারী শিক্ষকরা আন্দোলনে থাকায় পরীক্ষা নিতে দেরি হয়েছে। পরিস্থিতি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তাঁদের নির্দেশে এবং অভিভাবকদের সহায়তায় তিনি একাই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেন।
শুধু ইসলামিয়া বিদ্যালয় নয়, বরিশালের আরও বেশ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই পরিস্থিতিতে প্রধান শিক্ষকরা অভিভাবকদের সহায়তায় পরীক্ষা পরিচালনা করেছেন।


