পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে কারাগারে হত্যা করা হয়েছে—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লেও তা ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারা কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, ইমরান খানকে জেল থেকে গোপনে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়নি। তিনি এখনো কারাগারের ভেতরেই আছেন এবং সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) আদিয়ালা জেল প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানায়, ইমরান খানকে হাসপাতাল বা অন্য কোনো স্থানে নেওয়ার খবর মিথ্যা। তার স্বাস্থ্য নিয়ে যেসব জল্পনা ছড়ানো হচ্ছে, সেগুলোও নির্বিচার ও ভিত্তিহীন। জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার জন্য প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ দাবি করেছেন, ইমরান খান জেলে যথেষ্ট আরাম-আয়েশে আছেন। তার কথায়, ইমরান খানের জন্য যে খাবারের তালিকা দেওয়া হয়, তা পাঁচতারকা হোটেলের সমতুল্য। তার সেলে টেলিভিশন রয়েছে, ব্যায়ামের জন্য আলাদা যন্ত্রও সরবরাহ করা হয়েছে। ডাবল বেড ও ভেলভেট ম্যাট্রেস ব্যবহার করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। নিজের কারাবাসের অভিজ্ঞতা টেনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মন্তব্য করেন, আমরা কঠিন বাস্তবতায় দিন কাটালেও ইমরান খান আরামেই আছেন।
তবে ইমরান খানের পরিবারের অভিযোগ, গত তিন সপ্তাহ ধরে তার বোনদের ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তারা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে বসলে পুলিশ লাঠিপেটা করে বাধা দেয় বলে অভিযোগ পিটিআইয়ের। দলটির দাবি, ইমরান খানকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাখা হয়েছে—বই, ব্যক্তিগত জিনিসপত্র এমনকি আইনজীবীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ সীমিত করা হয়েছে। তাদের ভাষ্য, জেল প্রশাসনের ওপর একজন সেনা কর্মকর্তা নিয়ন্ত্রণ করছেন।
আইনজীবী খালিদ ইউসুফ চৌধুরী অভিযোগ করেন, এখানে আইনের কোনো নিয়ম কার্যকর নেই—জঙ্গলের আইন চলছে। এদিকে খাইবার-পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী সোয়েল আফ্রিদিও একাধিকবার দেখা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
সিএ/এমআরএফ


