বরিশাল মহানগরীর বেলতলা এলাকায় একটি পাঁচতলা ভবন পাশের চারতলা ভবনের ওপর হেলে পড়েছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ভূমিকম্পের পর ভবনটির কাঠামো দুর্বল হয়ে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে ভবন দুটি ছাড়াও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অনেকে বাসা থেকে বের হয়ে রাতে বাইরে অবস্থান করেছেন বলেও জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, মোতালেব মিয়ার মালিকানাধীন পাঁচতলা ভবনটি সৌদি প্রবাসী জহির হাওলাদারের নবনির্মিত চারতলা ভবনের পূর্ব পাশের দিকে হেলে পড়েছে। দুই ভবনের মালিকপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে দায় চাপিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম উদ্বেগ ও বিরোধ দেখা দিয়েছে।
হেলে পড়া ভবনের মালিক মোতালেব মিয়া বলেন, ভবনটির পশ্চিম পাশে কোনো সমস্যা নেই। পূর্ব দিকের অংশটি নতুন ভবনের সঙ্গে লেগে আছে। সিটি করপোরেশনের অনুমোদন অনুযায়ী চারতলা নকশা ছিল, তবে এক পাশে একটি ইউনিট পাঁচতলা করা হয়েছে। আমাদের ভবন নয়, নতুন ভবনটিই হেলে পড়েছে।
অন্যদিকে প্রবাসী জহির হাওলাদারের ছেলে ফাখের হাওলাদার দাবি করেন, রোববার সন্ধ্যায় আমরা দেখি পাশের ভবনটি আমাদের ভবনের ওপর এসে হেলে পড়েছে। এতে আমাদের সেইফটি ট্যাংকের পাইপ ভেঙে গেছে। তিনি জানান, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তাদের পরিবারও আতঙ্কে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শুভ বলেন, হেলে পড়া ভবনের প্রতিটি তলায় ভাড়াটিয়ারা বসবাস করছেন। পাশের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। নিচতলায় শুধু প্রবাসীর পরিবার থাকে। পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে দাবি করে তিনি প্রশাসনের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ চান।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের স্থপতি সাইদুর রহমান বলেন, বেলতলায় ভবন হেলে পড়ার খবর পেয়েছি। বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে এবং প্রকৌশল দল পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী বলেন, ভূমিকম্পে বরিশাল মহানগরীতে বড় ধরনের ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। হেলে পড়া ভবনটি পরিদর্শন করে প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসীরা দ্রুত প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করে ভবন দুটির নিরাপত্তা পরীক্ষা এবং ঝুঁকি কমাতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
সিএ/এমআরএফ


