চট্টগ্রামে এক সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের সাবেক আমির শাহাজাহান চৌধুরীর দেওয়া বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিএনপিসহ বিভিন্ন মহল থেকে তার বক্তব্যের নিন্দা জানানো হচ্ছে এবং তাকে গ্রেফতারের আবেদন জানানো হয়েছে। তবে জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি তার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মন্তব্য, দলের কোনো অবস্থান নয়।
শনিবার (২২ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান অঞ্চলের নির্বাচনি দায়িত্বশীলদের নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শাহাজাহান চৌধুরী।
বক্তৃতায় তিনি বলেন, নির্বাচনে জয় পেতে হলে প্রশাসনকে নিজেদের অনুসারী করতে হবে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে নির্বাচন মাঠ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ওসি সাহেব সকালে প্রার্থীর প্রোগ্রাম জেনে নিয়ে প্রটোকল দেবেন, যাতে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা পাওয়া যায়।
ভোটারদের মন জয় করতে প্রার্থীদের প্রতীক পরিচিত করানোসহ জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনের পরামর্শও দেন তিনি। একইসঙ্গে জানান, যতটুকু জানা গেছে, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। জয়লাভের জন্য জনগণকে কাছে টানতে হবে এবং মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আদর্শ তুলে ধরতে হবে।
সভায় তিনি দাবি করেন, নির্বাচন জিতলে প্রধানমন্ত্রী হবেন বর্তমান জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। তার ভাষ্যে, সুযোগ এসেছে এবং এটি কাজে লাগাতে না পারলে আর আসবে না।
তার এসব মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষত প্রশাসনকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার অংশটি নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে।
এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, এই বক্তব্য দলের নয় এবং দল এ ধরনের বক্তব্য সমর্থন করে না। তিনি বলেন, প্রশাসন পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করবে এবং জামায়াত এতে হস্তক্ষেপ করে না। দলটির পক্ষ থেকে শাহাজাহান চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এবং অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সিএ/এমআরএফ


