বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। তিনি রোববার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন।
ফারুক বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, যত ষড়যন্ত্র করা হয়, যত রকমের আওয়ামী প্রেত্মাতাদের সঙ্গে সম্পর্ক করে নির্বাচন করার চেষ্টা করা হোক, কিছুই সফল হবে না। তিনি আরও বলেন, গত দুদিন আগে যাকে সারা দেশের মানুষ সমর্থন দিয়ে সরকারে বসিয়েছে, পৃথিবীর ইতিহাসে যিনি বাংলাদেশের সুনাম অর্জন করেছেন, অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
জামায়াতে ইসলামীর অতীত কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে ফারুক বলেন, যারা ১০ বছর নিষ্ক্রিয় ছিলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার সুযোগ খুঁজেছেন, তারা আজ কয়েকটি দল মিলে একত্রীত হয়ে নির্বাচনের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, “যারা তখন অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছিলেন, তারা আজকের এই অত্যাচার-অবিচার, পাকিস্তানি সৈন্যদের বাড়ি দেখিয়ে দেওয়া ও মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অংশীদার ছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “যখন বেগম খালেদা জিয়াকে এক কাপড়ে বের করে দেওয়া হয়েছিল, তখন তারা কোথায় ছিলেন? তারা এই ফ্যাসিস্টের সঙ্গে একবার নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেছেন। একবার পিআর ছাড়া নির্বাচন হবে না, একবার গণভোট আলাদাভাবে হবে না, এসব বলার মাধ্যমে তারা আসলেই নির্বাচন করবে না এমন নয়।” ফারুক অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি সমর্থন জানান এবং বলেন, সরকারের প্রতিষ্ঠা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে জাতীয় বাস্তহারা দলের উদ্যোগে ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে বাস্তহারাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ফারুক আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী সরকার দেশে কার্যকর সংসদ, সুশাসন, স্বাধীন বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা করবে। গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় কার্যকর করার দাবিও জানান জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, রায় কার্যকর করতেই হবে। যদি বন্দি বিনিময় চুক্তি ও বন্ধুত্ব রাখতে হয়, তবে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
আলোচনা সভায় বাস্তহারা দলের সভাপতি শরীফ রাগিবের সভাপতিত্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, বাস্তহারা দলের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজীসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সিএ/এমআরএফ


