দুবাই এয়ার শো-২০২৫ এ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ভারতীয় তেজস যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর তার পাইলটের মৃত্যু ঘটেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বাজারে পাকিস্তানের জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমানের ওপর চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের জন্য সমঝোতা স্মারক সই করেছে। তবে কতটি বিমান বিক্রি হবে এবং কোন দেশগুলো এটি কিনবে, তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আরও কয়েকটি দেশ জেএফ-১৭ কেনার বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে, যা পাকিস্তানের বিমান শিল্পের প্রতি বৈশ্বিক আস্থার প্রমাণ।
এর আগে, ২০২৪ সালে আজারবাইজান জেএফ-১৭ ব্লক–৩ কেনার জন্য ৪.৬ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছিল। এ প্রদর্শনীতে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবর সিদ্দিকি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর বিমানবাহিনী প্রধান ও সামরিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে উন্নত প্রশিক্ষণ উদ্যোগ, এয়ারোস্পেস প্রযুক্তি সহযোগিতা, যৌথ মহড়া ও কৌশলগত সমন্বয় নিয়ে আলোচনা হয়।
দুবাই এয়ার শোতে জেএফ-১৭ ব্লক–৩ প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে। এর আধুনিক অ্যাভিওনিক্স, শক্তিশালী রাডার ও ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম, কৌশলগত সক্ষমতা এবং উন্নত অস্ত্র সংযোজন ক্ষমতা দর্শনার্থী ও বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি কাড়ে। জেএফ-১৭ হল পাকিস্তান ও চীনের যৌথ উন্নয়নে তৈরি হালকা মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান। এটি আকাশে লড়াই, ভূমিতে হামলা এবং নজরদারি মিশনে ব্যবহারযোগ্য।
পাশাপাশি কম খরচে আধুনিক প্রযুক্তি অভিযোজনযোগ্যতার কারণে এটি অনেক দেশের জন্য কার্যকর ও সাশ্রয়ী বিকল্প হিসেবে বিবেচিত। পাকিস্তানের জেএফ-১৭ প্রদর্শন দেশের প্রতিরক্ষা রপ্তানি সম্ভাবনাকে শক্তিশালী করেছে এবং জাতীয় গর্ব বাড়িয়েছে।
সিএ/এমআরএফ


