চব্বিশের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই মামলায় সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জানিয়েছে, ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী পরিচালিত হয়েছে। দলটি বলছে, রাষ্ট্র বা সরকারের কোনো প্রধান বা ক্ষমতাবান রাজনৈতিক নেতা আইনের ঊর্ধ্বে নয়, তা এই রায়ে প্রতিষ্ঠিত হলো। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার হয়তো সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ পাবে না, তবে আজকের রায়ে তাদের হৃদয়ে কিছু স্বস্তি এসেছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল সোয়া ৩টায় মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এবং আইনের শাসনের ইতিহাসে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কোনো সরকার প্রধানের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের এই রায় ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, বিচারকরা রায়ে প্রমাণিত করেছেন যে অভিযুক্তরা কতটা নিষ্ঠুর এবং ঘৃণাপূর্ণ অপরাধ সংঘটিত করেছে। ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপিত অডিও-ভিডিও, টেলিফোন আলাপ এবং অন্যান্য প্রমাণ এই রায়ে স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে।
মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, বিচার স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে। আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের নামে জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে যে বিচার হয়েছে, তা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এখন প্রথমবারের মতো ক্ষতিগ্রস্ত পরিবাররা সুবিচার দেখতে পেয়েছে। আজকের রায়ে প্রমাণিত হলো যে রাষ্ট্র বা সরকারের কোনো প্রধান, কর্তা ব্যক্তি বা ক্ষমতাবান নেতা আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যারা বিচারক বা প্রশাসক হবেন, তাদের এই রায় থেকে শিক্ষা নিতে হবে। যেন কেউ ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী বা অত্যাচারী হয়ে উঠতে না পারে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, ড. এইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সেলিম উদ্দিন।
সিএ/এমআরএফ


