ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরেই গোপন অভিযান চালিয়ে আসছিল ইসরায়েল। দেশটির ভেতরে ড্রোন ঘাঁটি স্থাপন, অস্ত্র ব্যবস্থাপনা ও কমান্ডো অনুপ্রবেশ—সব মিলিয়ে বড় পরিকল্পনায় ওৎ পেতে ছিল তেল আবিব। কিন্তু গত জুনে ইরানের ওপর অতর্কিত হামলার জবাবে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির দেশ দেখিয়ে দিয়েছে—তারা অনেক আগেই পাল্টা আঘাতের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল।
ইরান ডিকয় ক্ষেপণাস্ত্র বা ‘মিসাইল প্রতারণা’ কৌশল ব্যবহার করে লোহার দুর্গ নামে পরিচিত ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমকে বিভ্রান্ত করে। একই সঙ্গে ধাতব পটকা বা ভুয়া ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ফলে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভুল টার্গেটে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যয় করে ফেলে। ফলে ইসরায়েলি অস্ত্রাগার দ্রুত খালি হয়ে যায় এবং প্রকৃত ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যে আঘাত আনতে সক্ষম হয়।
মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতে, আয়রন ডোমের প্রতিরক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র একবার ছোড়া হলে পুনরায় লোড হতে ১০-১১ মিনিট সময় লাগে। অন্যদিকে ইরানের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মাত্র ৭ মিনিটেই ইসরায়েলে আঘাত হানতে পারে। এ ব্যবধানেই বড় ক্ষতির মুখে পড়ে ইসরায়েল।
সামরিক এই কৌশল ইসরায়েলের জন্য বড় বার্তা হলেও, ইরান এখন আরও সতর্ক। তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির অগ্রগতি কোনোভাবেই সীমিত করা হবে না। নতুন নতুন সক্ষমতা অর্জনে তারা অবিচল থাকবে।
সিএ/এমআরএফ


