মুদ্রাস্ফীতি ক্রমশ বাড়ছে, ফলে বাজারে প্রায় সব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সচেতনভাবে বাজার করা এবং কিছু কৌশল মেনে চললে খরচ কমানো সম্ভব। পরিকল্পনা, খাদ্যবস্তুর প্রাধান্য এবং সঠিক কেনাকাটা নীতির মাধ্যমে পরিবারে সাশ্রয় ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা যায়। বাজার খরচ কমানোর কিছু কার্যকর উপায় হলো—
পরিকল্পনা করুন
বাজারে যাওয়ার আগে তালিকা তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। বাড়িতে কি আছে, কি নেই তা যাচাই করে তালিকা বানানো অতিরিক্ত কেনাকাটা এড়াতে সাহায্য করে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, পরিবারগুলো গড়ে খাবারের প্রায় ৩০% নষ্ট করে দেয়। তাই তালিকা অনুযায়ী বাজার করা অর্থ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন
ফলমূল ও শাক-সবজি বেশি ব্যবহার করা অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি পুষ্টি নিশ্চিত করার একটি সহজ উপায়। দেশি মৌসুমী ফলমূল এবং সবজি বেছে নিলে ব্যয় কমে এবং ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। হিমায়িত, প্যাকেটজাত বা জাঙ্কফুডের উপর নির্ভরতা কমে, যা স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।
ছাড়ের অপেক্ষা করুন
বাজারে অনেক সময় বিভিন্ন পণ্য ছাড়ে পাওয়া যায়। ‘একটির সঙ্গে একটি ফ্রি’ বা অন্যান্য অফার খুঁজে নিলে কিছু অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব। তবে অপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার জন্য ছাড়ের প্রলোভনে পড়বেন না, এতে খরচ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রোটিনের বিকল্প বিবেচনা করুন
মাংস, মাছ, হাঁস-মুরগির মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ব্যয়বহুল হতে পারে। বিনস, ডাল বা টোফুর মতো উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিন ব্যবহার করে খরচ কমানো যায়। এছাড়া মাংসের পরিমাণ কমিয়ে এই ধরনের বিকল্প প্রোটিন যুক্ত খাবার কিনলে সাশ্রয় হয়।
পাইকারি কেনাকাটা করুন
প্রয়োজনীয় খাবারগুলোর জন্য পাইকারি দোকান থেকে কেনাকাটা করলে অনেকটা খরচ বাঁচানো সম্ভব। তবে দ্রুত নষ্ট হওয়ার ভয়ে সবকিছু একসাথে কিনবেন না। যেসব জিনিস বারবার প্রয়োজন এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার হয়, সেগুলো পাইকারি থেকে কিনলে বাজার খরচের উপর চাপ কমে।
সিএ/এমআরএফ


