বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হনেই নয়, ক্ষমতায় এলে পদ্মা-তিস্তা নদীর পানিবণ্টন এবং ফারাক্কা ইস্যুতে তাদের কেন্দ্রীয় অগ্রাধিকার থাকবে। তার মতে, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম-স্বত্বভিত্তিক; দাদাগিরি বা উপেক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে না।
শনিবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত রাবার ড্যাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রতিটি দেশ তার স্বার্থ রক্ষা করার অধিকার রাখে, কিন্তু জনগণের নির্বাচিত সরকার না থাকলে বৈধ দাবি সামনে আনাই যায় না। তাই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হাতে পেলে বিএনপি এই পানির ইস্যুগুলোতে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
তিনি আরও বলেন, যদি দলটি সরকার গঠন করতে পারে, তাহলে পদ্মা–তিস্তা নদীর পানিবণ্টন সংক্রান্ত ন্যায্য অধিকার আদায়ে তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। ফারাক্কা বাঁধ ইস্যু, যা দীর্ঘকাল ধরে আলোচনায় রয়েছে, সেটাও পদকর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে।
একই দিন বিকেলে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে ‘বাঁচাও পদ্মা, বাঁচাও দেশ; সবার আগে বাংলাদেশ’ শ্লোগানকে কেন্দ্র করে বিএনপি এক গণসমাবেশ আয়োজন করেছে। মির্জা ফখরুল এতে যোগ দেবেন বলে দল জানিয়েছে।
বিএনপি জেলা পর্যায়ে একটুও কর্মসূচি বানিয়েছে, যাতে পদ্মার ন্যায্য পানিবণ্টনের দাবি তুলে ধরা হয় — প্রতিটি উপজেলা সমাবেশের মধ্য দিয়ে সেই দাবি পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে। ২ নভেম্বর শহীদ সাটু হলে মতবিনিময় সভা দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়। তার পর থেকে প্রতিটি উপজেলা থেকেই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং এই দিন ছিল তার ধারাবাহিকতা।
এ কর্মসূচি সংগঠনে দায়িত্বে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। এছাড়া ভূমিকা রাখছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক সহসম্পাদক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি মো. আমিনুল ইসলাম এবং চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা।
সিএ/এমআরএফ


