আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনজুড়ে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। মাহমুদুল হাসান জয়ের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস, সাদমান ইসলামের দৃঢ় সূচনা এবং মুমিনুল হকের ফিফটি দিয়ে প্রথম ইনিংসে শক্ত অবস্থানে দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা।
দিনের শুরুতে আয়ারল্যান্ড মাত্র ২.২ ওভার টিকতে পারে। বাকি দুই উইকেট হারিয়ে তারা প্রথম ইনিংস শেষ করে ২৮৬ রানে। এরপর ব্যাট হাতে নামেন মাহমুদুল জয় ও সাদমান ইসলাম। ওপেনিং জুটিতে তারা গড়েন ১৬৮ রানের পার্টনারশিপ। সাদমান ১০৪ বলে ৮০ রানে আউট হলেও জয়ের ব্যাটে ঝড় অব্যাহত থাকে।
জয় দেশের মাটিতে তুলে নেন তার প্রথম সেঞ্চুরি, যা টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় শতক। ২৮৩ বলে ১৪ চার ও ৪ ছয়ে তিনি ১৬৯ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন। তার সঙ্গে অপর প্রান্তে মুমিনুল হকও আছেন ১২৪ বলে ৮০ রানে। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১ উইকেটে তোলে ৩৩৮ রান, এগিয়ে যায় ৫২ রানে।
জয় ৭৭তম ওভারে এক রান নিয়ে ছাড়িয়ে যান নিজের ক্যারিয়ারসেরা ১৩৭ রানকে। পরের ওভারেই কুর্টিস ক্যাম্ফারের এক স্পেলে দুটি ছক্কা ও একটি চারে ১৬ রান তোলেন। প্রথম ছক্কাতেই ছুঁয়ে ফেলেন দেড়শ রানের মাইলফলক।
মুমিনুলের ব্যাটেও দেখা যায় আত্মবিশ্বাসের ছাপ। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যর্থ হলেও আজ সিলেটে তিনি ফিরেছেন ছন্দে। ৭৫ বলে ছক্কা মেরে ২৩তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। জয়ের সঙ্গে তার শতক পার করা জুটিতে বাংলাদেশ দারুণভাবে ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নেয়।
এর আগে জয় ঘরের মাঠে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি উদযাপন করেন। ২০২২ সালের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে প্রথম শতক করার পর এটি তার দ্বিতীয়। দীর্ঘ সময় ব্যর্থতার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে ফর্ম ফিরে পেয়ে জয় জাতীয় দলে ফিরে এসেছেন দুর্দান্তভাবে।
জয়ের সঙ্গে সাদমানের ১৬৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গত দশ বছরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ। সাদমানের বিদায় ঘটে আইরিশ স্পিনার ম্যাথু হামপ্রিসের বলে। ১০৪ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৮০ রানে আউট হন তিনি।
সিএ/এমআরএফ


