অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ভোট আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নির্বাচন যদি এক দিনও পেছানো হয়, তাহলে জনগণ তা মেনে নেবে না এবং ছাড়ও দেবে না।
রোববার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৯ নম্বর রায়পুর ইউনিয়নের ভাউলার হাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ফখরুল বলেন, “কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে, কারণ তারা নির্বাচনে অংশ নিতে ভয় পায়। কিন্তু আমাদের অবস্থান স্পষ্ট—ফেব্রুয়ারির পর এক দিনও নির্বাচন বিলম্বিত হলে জনগণ তা মেনে নেবে না।”
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই—২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চাই। অন্যথায় এ দেশের মানুষ রাজপথে নেমে আসবে।”
সভায় মির্জা ফখরুল ‘জুলাই সনদ’ প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “বৃষ্টিতে ভিজে আমি সংসদ ভবনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছি, কিন্তু যে সনদ আমি স্বাক্ষর করেছি আর যেটি প্রধান উপদেষ্টাকে দেওয়া হয়েছে, তা এক নয়। সেখানে প্রতারণা হয়েছে, পাতায় পরিবর্তন করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “দেশে এখন এক ধরনের নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। তবে জনগণ এখন অনেক সচেতন, আর প্রতারিত হবে না।”
ফখরুল জানান, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ১৫ মাসের মধ্যে এক কোটি বেকারের কর্মসংস্থানের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করবে। পাশাপাশি ঘোষিত ৩১ দফা দাবি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি সরকার গঠন করতে চাই যেখানে জনগণের ক্ষমতা, অধিকার ও কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে। প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. তোফায়েল হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সাল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মো. পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
সিএ/এমআরএফ


