প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ’ চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। এই আইনে গুমের অপরাধে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
৬ নভেম্বর বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের জন্য বহুদিন ধরে আলোচনা চলেছে। অধ্যাদেশে গুমকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং চলমান অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডসহ অন্যান্য কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
প্রেস সচিব জানান, গোপন আটক কেন্দ্র বা আয়নাঘর ব্যবহারের মাধ্যমে কাউকে আটক রাখা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গুম সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ এবং তদন্ত কমিশনকে তদন্তের ক্ষমতা প্রদান করবে। ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা, ভুক্তভোগী ও স্বাক্ষীর অধিকার সুরক্ষা, ক্ষতিপূরণ এবং আইনগত সহায়তা প্রদানের বিধানও অধ্যাদেশে অন্তর্ভুক্ত।
এছাড়া গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার, নিরাপত্তা ও তথ্য সংরক্ষণের জন্য তহবিল গঠন এবং তথ্যভাণ্ডার প্রতিষ্ঠার বিধানও সংযোজিত হয়েছে। শফিকুল আলম বলেন, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন, যা ভবিষ্যতে কোনো ফ্যাসিস্ট সরকারকে গুমের মাধ্যমে রাজত্ব চালানোর সুযোগ দেবে না এবং দেশে কোনো গোপন আয়নাঘর থাকবে না।
তিনি আরও জানান, অধ্যাদেশ আন্তর্জাতিক কনভেনশন ফর দি প্রটেকশন অব অল পারসনস ফ্রম এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে, যা গত বছর ২৯ আগস্ট বাংলাদেশের উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন করেছে। অধ্যাদেশের বাস্তবায়নের ফলে দেশে গুমের ঘটনা প্রতিরোধ এবং ভুক্তভোগীদের জন্য প্রতিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
সিএ/এমআরএফ


