বিপুলসংখ্যক জামিন মঞ্জুরের কারণে হাইকোর্টের তিন বিচারপতির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বিষয়টি মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতি হলেন- আবু তাহের সাইফুর রহমান, বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি জাকির হোসেন। প্রধান বিচারপতির এ নির্দেশের মাধ্যমে বিচারপতিদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা নেওয়া হবে, যাতে জামিন প্রদানের প্রক্রিয়া ও কারণসমূহ পর্যালোচনা করা যায়।
এদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে করা চূড়ান্ত আপিলের শুনানি চতুর্থ দিন প্রবেশ করেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। জামায়াতে ইসলামীর মহাসচিবের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করছেন আইনজীবী শিশির মনির।
আগের শুনানিতে বিভিন্ন পক্ষের আইনজীবীরা নিজেদের যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। গত ২৩ অক্টোবর তৃতীয় দিনের শুনানি শেষে ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী ইন্টারভেনর হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ২২ অক্টোবর রিটকারী বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া শুনানি শেষ করেন। প্রথম দিন ২১ অক্টোবর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের শুনানি শুরু হয়।
এর আগে ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই আপিলে অংশ নেন।
শুনানিতে সংশ্লিষ্ট পক্ষের যুক্তি ও রিটের বিশদ বিশ্লেষণ আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হচ্ছে। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের মামলা জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে এবং দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
সিএ/এমআর


