প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ও সবচেয়ে ভুক্তভোগী চাকরিতে আবেদন প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং ১৯৯০–৯৪ প্রজন্মের ক্ষোভ — “চাই চাই সুযোগ চাই। চাকরিতে আবেদনের সুযোগ চাই। ব্যাকডেট চাই।”
সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা শিথিল এবং ব্যাকডেট সুবিধা পুনর্বহালের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত চাকরিপ্রত্যাশীরা নতুন করে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, ১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম বিভিন্ন সময়ের প্রতিকূলতা ও প্রশাসনিক জটিলতায় সবচেয়ে বেশি বঞ্চনার শিকার হয়েছে।
দাবিদারদের মূল স্লোগান — “চাই চাই সুযোগ চাই! চাকরিতে আবেদনের সুযোগ চাই! বছর ব্যাকডেটের চাই!”
তাদের দাবির যৌক্তিকতা হিসেবে তারা কয়েকটি পয়েন্ট উপস্থাপন করেছেন—
১. তারা “কোটা বঞ্চিত”, “৩২ বঞ্চিত”, “করোনায় ৩ বছর বঞ্চিত” এবং “ব্যাকডেট সুবিধা বঞ্চিত” প্রজন্ম। ব্যাকডেটের প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হয় ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে, কিন্তু কার্যকর ধরা হয় ২৫ মার্চ ২০২০ সাল থেকে। ফলে ৩৯ মাসের মধ্যে ৩০ মাসই প্রজ্ঞাপনের আগেই শেষ হয়ে যায়— যা পুরোপুরি করোনাকালীন সময় ছিল।
২. করোনা-পরবর্তী দেড় বছরেরও বেশি সময় সার্কুলার বন্ধ থাকা এবং পুনঃসার্কুলারে আবেদনের সুযোগ না দেওয়ায় অসংখ্য শিক্ষার্থী চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।
৩. বিগত ১৬ বছরে প্রশ্নফাঁস, সেশনজট, অনিয়ম, দলীয়করণ, নিয়োগ বাণিজ্য, প্রক্সি বাণিজ্য ও ডিভাইস বাণিজ্যের কারণে চাকরিপ্রত্যাশীরা দীর্ঘদিন ধরে হতাশায় ভুগছেন। একই দিনে ১৭–২২টি পরীক্ষা হওয়ায় অনেকেই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।
৪. প্রাইভেট সেক্টরেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর হওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা উভয় দিক থেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন।
এমতাবস্থায় তারা দাবি জানিয়েছেন — আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৮ সাল পর্যন্ত আরও তিন বছরের জন্য সকল চাকরিতে ব্যাকডেট সুবিধা পুনর্বহাল করতে হবে।
চাকরিপ্রত্যাশীরা বলেন, “আমরা কোনো বাড়তি সুবিধা নয়, ন্যায্য অধিকার চাই। করোনাকালীন স্থবিরতা ও প্রশাসনিক বিলম্বে হারানো সময়ের ক্ষতিপূরণই আমাদের দাবি।”


