রাশিয়া বর্তমানে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে। দুই দেশই মধ্যপ্রাচ্যে পরস্পরের প্রতি বৈরী অবস্থান রেখেছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবে-তে অনুষ্ঠিত রাশিয়া-সেন্ট্রাল এশিয়া সামিটে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, “ইসরায়েলের নেতারা আমাদের জানিয়েছেন যে তারা তেহরানের কাছে একটি বার্তা পাঠাতে চান, যা হলো— তারা ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ভবিষ্যতে আর কোনো সংঘাতে জড়াতে আগ্রহী নন। তারা অনুরোধ করেছেন, আমরা যেন এই বার্তা আমাদের ইরানি বন্ধুদের কাছে পৌঁছে দিই।”
পুতিন আরও জানান, “এই মুহূর্তে আমরা ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় আছি।” তিনি ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের উদ্বেগ নিরসনে কূটনীতির প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুন আইএইএ ইরানকে পরমাণু বোমা তৈরির যোগ্য ইউরেনিয়াম মজুত করার অভিযোগে সতর্ক করে। এক সপ্তাহ পর, ১৩ জুন ইরানকে লক্ষ্য করে বিমান অভিযান চালায় ইসরায়েল। অভিযানের জেরে ইরানের সেনাপ্রধান জেনারেল বাঘেরিসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন এবং পরমাণু স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এর জবাবে ইরান ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ১২ দিন ধরে সংঘাত চলার পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে যায় দুই দেশ।
পুতিন উল্লেখ করেছেন, সংঘাতের শুরু থেকেই তিনি ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন এবং সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে গাজা বিষয়ক যুদ্ধবিরতি নিয়ে টেলিফোনালাপে বসেছেন।
সিএ/এমআর