ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার ওপর ইসরায়েলি হামলা আরও তীব্রতা পায়। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে চলা অভিযানকালে অন্তত ৫৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে ইসরায়েল গাজা সিটিতে অবস্থানরত লাখো লোককে শহর ছাড়ার ‘শেষ সুযোগ’ দিয়েছে এবং যারা থাকে তাদের সবাইকে “সন্ত্রাসী বা সন্ত্রাসীদের সমর্থক” হিসেবে গণ্য করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিমান ও স্থল হামলায় গাজা সিটি বড় অংশে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে; আবাসিক ভবন, স্কুল ও নাগরিক পরিকাঠামো ধ্বংস হচ্ছে এবং প্রতিদিন ডজনর মতো নিহত হচ্ছেন অনেকে। হতাহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও বেশিরভাগ। হাজারো নাগরিক দক্ষিণের দিকে পালাতে চেষ্টা করছেন, কিন্তু পালানোর পথেও তারা হামলার মুখে পড়ছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিক ও উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি নিরাপত্তাবাহিনী আল-রাশিদ সড়কসহ নগরের মূল পথগুলো দিয়ে মানুষকে জোরপূর্বক সরিয়ে দিতে তৎপর—তবে উপকূলীয় পথে সরার সময়ও ড্রোন, হেলিকপ্টার ও ট্যাংকের আঘাতে লোকজন বিপদে পড়ছে। পরিস্থিতিতে আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে।
চিকিৎসাসংস্থার তথ্যে বৃহস্পতিবার গাজা সিটিতে অন্তত ১০ জন নিহত হলেও দক্ষিণ গাজায় ত্রাণ সংগ্রহের সময় আরও অন্তত ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। চলমান সহিংসতায় সমগ্র গাজায় এখন পর্যন্ত হতাহতির সংখ্যা এবং কাঁটাছেঁড়া মানবিক চিত্রের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নেতারা ইসরায়েলের ঘোষণাকে ‘পরিকল্পনাগত গণহত্যার’ পূর্বাভাস হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন—কারণ সিটিতে থাকা নারী, শিশু, রোগী ও বৃদ্ধদের গণহারে ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
ঘটনার প্রেক্ষিতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে উত্তেজনা বাড়ছে; হিউমানিটারিয়ান করিডর, ত্রাণ নিরাপত্তা এবং নাগরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জোরালো হচ্ছে।
সিএ/এমআরএফ