বদরুল ইসলাম
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে এখন সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পরিস্থিতি বিবেচনায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রাসহ দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বরগুনার উপকূলে জেলেদের মধ্যেও বেড়েছে উদ্বেগ।
সোমবার (১৮ আগস্ট) আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
লঘুচাপের অবস্থান ও সম্ভাবনা:
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িষ্যার উপকূলের অদূরে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে আরও ঘনীভূত হয়েছে এবং পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এই অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা/ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
বরগুনার বাস্তবচিত্র:
সমুদ্রের উত্তাল অবস্থান ও সতর্ক সংকেতের খবরে বরগুনার উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বাড়ছে উদ্বেগ। অনেক জেলে ট্রলার নিয়ে ফিরে এসেছেন, আবার কেউ কেউ সাগরে যাবেন কি না তা নিয়ে দোটানায় রয়েছেন।
আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী এলাকার জেলে মো. খোকন হাওলাদার বলেন,
“আমরা গতকাল বিকেলেই খবর পেয়ে তীরে ফিরে এসেছি। সাগরে এখন যাওয়া মানে জীবন হাতে নিয়ে নামা। কয়েকদিন মাছ ধরা বন্ধ রাখলে কষ্ট হবে ঠিকই, কিন্তু প্রাণটা তো আগে।”
বরগুনার পাথরঘাটা ও তালতলী উপকূলেও জেলেদের মাঝে সতর্কতা লক্ষ্য করা গেছে।
মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকার জন্য নির্দেশনা:
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। গভীর সাগরে না যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা থাকলে আগে থেকেই সতর্কতা গ্রহণই একমাত্র পথ। বরগুনাসহ উপকূলীয় জেলাগুলোর মানুষ এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের সহযোগিতা ও সরকারি সহায়তা কামনা করছে।