মোশারফ হোসাইন :
সারাদেশে আন্দোলন কোটা সংস্কার চাই, চাইলাম কোটা সংস্কার হয়ে গেলাম রাজাকার ও অন্যান্য শ্লোগানে চলেছে কোটা সংস্কারের আন্দোলন । অবশেষে অবসান হল এ আন্দোলনের, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন কোটা নিয়ে যেহেতু এতকিছু কোন কোটায় রাখা হবেনা । কিন্তু এ আন্দোলনে যোগ দিয়ে তরুণরা তো তাদের সাধ্য সাধণ করল কিন্তু তরুণীরা কি পেল.?
ছেলেরা সব সময় বলে থাকে মেয়েরা এক লাইন বেশী বুঝে । টিভির পর্দা ইউটিউব ফেইজবুকে যখন দেখি ছেলেদের সাথে মেয়েরাও আন্দোলনে আমিও তখন থেকে বলা শুরু করলাম আসলেই মেয়েরা একলাইন বেশীই বুঝে ।
ভাববেননা আমি মেয়েদের নিচু করছি, এটা অন্য কেউ করলেও আমি করবোনা কেননা তারা তো আমাদেরই বোন শুধু বোনেরা যে ভুল করেছে সেই ভুলটা ধরিয়ে দিচ্ছি । তবে আমার লেখায় কোন ভুল হলে আমিও ক্ষমা প্রার্থী ।
যাইহোক মূল কথায় ফিরি, নারী অধিকারের লক্ষ্য শতভাগ কোটার মধ্যে দশভাগ তো ছিলই তবে কেন নারীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনে.? এখন তো নারী পুরুষ চাকুরী যোদ্ধ হবে । নারীদের সরকার যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তখন তারাই আগানো কথা না ভেবে নারী পুরুষ সমান অধিকাররে আসেছে । এতে নারীরা কি পিছিয়ে পরলনা.? তবে হ্যা নারীরাও পড়াশোনা করে চাকুরীতে এগিয়া থাকতে পারে কিন্তু বাঙলী নারীর পরম ধর্ম সংসার তার আসল কর্ম । চাইলেও ছেলেদের সাথে চাকুরী যোদ্ধে নামতে পারবেনা, অযথা তাদের আন্দোলন ছিল ।
নিজের ভালতো পাগলেও বোঝে । নারী কোটা ১০% প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪০% সহ সব স্থানে নারীদের জন্য উপযুক্ত হারে কোটা দেওয়া আছে । নারীদের এগিয়ে নিতে সার্বিক সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী । এতো সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে বলেই কি সুযোগের অপব্যবহার.? কিছু ভাইদের জন্য মাঠে নেমেছিল নারী, চাকুরী পাবেতো তাড়াতাড়ি.?
কথায় আছে সূখে থাকতে ভূতে কিলায়, শিক্ষিত হয়েও ছেলেদের দ্বারা অত্যাচারিত হয় নারী, এবার সব সুযোগ থেকে বঞ্চিত, একটা মেয়ে কখনোই একটা ছেলের মতো লেখাপড়ায় সুযোগ পায়না, বেশিরভাগী দেখা যায় ইন্টারমিডিয়েট এর পরই বিবাহ হয়, যদি অনার্স পাস করল বাবা- মা’র আর যেন দেরি নয় এবার বিবাহ, ছেলেরা ৩০বছর পর্যন্ত অনার্স পড়তে পারে, মেয়েদের একটু সুযোগ দিয়েছিল সরকার, ঝুকের বসে নিজেদের পায়ে নিজেরাই কোরাল মারলো।