ইভান আহমেদ রাকিব
(১) ঢাকার কদমতলী এলাকায় নয় বছর বয়সী এক মেয়েকে ধর্ষন করেন মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি আলাউদ্দিন (৩৯)।
(২) গ্রামের নদীতে স্লান করতে গিয়ে এলাকার ২-৩ জন বখাটে ছেলের হাতে ধর্ষন হয় একটি মেয়ে এবং পরবর্তীতে থানায় অভিযোগ করে মেয়েটি ও মেয়েটির মা। কিন্তু দুঃখ জনক ব্যাপার হলো ওই মামলা ১৬ বছর পর প্রত্যাহার বলে উল্লেখ করা হয়।
(৩) গত কয়েক দিন আগে একজন শিক্ষক ছাত্রীকে কোচিং রুমে জোর পূর্বক বাধা দিয়ে সারা রাত ধর্ষন করেন।
(৪) শহরে একদিন সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ ছিলোনা বলে মা আট বছর বয়সী মেয়েকে মোমবাতির জন্য দোকানে পাঠায়,কিন্তু মেয়ে ফিরে আসছেনা বলে বাসা থেকে বের হলে দেখা যায় মেয়েটিকে বাড়ি ওয়ালার ছেলে ধর্ষন করছে।
এভাবে বাংলাদেশে শত শত ধর্ষন হচ্ছে পরিনামে হয় মামলা। কিন্তু বিচার কি আদৌ হয়েছিলো?
এক গণনায় দেখা যায় ধর্ষনের অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল মামলার ৯৭% মামলা বাতিল হয়ে যায়। আদালত থেকে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করলে ধর্ষন রোধ করা সম্ভব। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার আদালত ধর্ষনের বিরুদ্ধে আইন চালু করে কিন্তু তা কি আদৌ বাস্তবায়ন হয়েছিলো?
সরকার ধর্ষনের বিরুদ্ধে জোর দিতে হবে। আদালত থেকে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এর সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত মৃত্যুদন্ড থেকে যৌন অঙ্গ কেঁটে দেওয়া পর্যন্ত। এরচেয়ে কুৎসিত শাস্তি আর কি হতে পারে।
আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পাই, প্রায় প্রতিটি ধর্ষনের পর ধর্ষক ধর্ষিতাকে ভয় দেখিয়ে পুরো ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চায়। কখনো কখনো এমটা বলতে শুনা যায় আমার অনেক ক্ষমতা, বিরাট রাজনৈতিক কর্মী। তাহলে ক্ষমতা কি অন্যায় করে পার পেয়ে যাওয়ার অধিকার?
তাই ধর্ষন রোধ করতে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।
ধর্ষনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি বাস্তবায়ন করতে পারলেই ধর্ষন রোধ করা সম্ভব।