দক্ষিণ সুনামগঞ্জের গ্রামীণ সড়কের সেই সেতুর উইং দেয়াল গতকাল রোববার বিকেলে ভেঙে যাচাই করে দেখেন তদন্ত কমিটির তিন সদস্য। কমিটির এক সদস্য জানান, রডের বদলে বাঁশ দেওয়া হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবে যেখানে পিভিসি পাইপ দেওয়ার কথা ছিল, সেখানে দেওয়া হয়েছে বাঁশের টুকরো।
শনিবার কয়েকটি গণমাধ্যমে এই সেতুতে রডের বদলে বাঁশ দেওয়ার সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই দিন রাতেই এ বিষয়টি তদন্তের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক এমরান হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি করে দেন জেলা প্রশাসক মো. সবিরুল ইসলাম। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় ওই সেতুতে যান তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক এমরান হোসেন, তদন্ত কমিটির সদস্য দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ও সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন।
তারা সেখানে সেতুর উইং দেয়ালের কিছু অংশ ভেঙে যাচাই করেন। উপস্থিত এক প্রকৌশলী জানান, সেতুর উইফল দেয়ালে পিভিসি পাইপ দেওয়ার কথা, দেওয়া হয়েছে বাঁশের টুকরো। মাঝখানের ভার্টিকেল দেয়ালে উইফল থাকে না, সেখানে বাঁশের টুকরো দিয়ে ১০টি উইফল দেওয়া হয়েছে। তবে ঢালাই ভেঙে রডের বদলে কোথাও বাঁশ দেওয়া হয়েছে এমন দেখা যায়নি। স্থানীয় সরকার বিভাগের সুনামগঞ্জের উপ-পরিচালক এমরান হোসেন জানান, তদন্তকালে যা দেখেছেন তা রিপোর্ট আকারেই দেবেন। এখন কিছু বলবেন না।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও-হাসকুঁড়ি গ্রামীণ সড়কের জিল্লুর মিয়ার বাড়ির সমানের খালে ২৭ লাখ ৯৪ হাজার ২৫৬ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্মার্ট এন্টারপ্রাইজ এই সেতুর নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান।