তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজিব হোসেনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার রায় দেবেন হাইকোর্ট। সোমবার সকালে এ আদেশ দেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গত ৪ এপ্রিল রিট আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। শুনানি শেষে ওই দিন আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন। রুলে রাজিব হোসেনকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চান হাইকোর্ট। পাশাপাশি রাজিবের চিকিৎসার খরচ স্বজন পরিবহনের মালিক এবং বিআরটিসিকে বহনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
গত ৩ এপ্রিল দুপুরে বিআরটিসির একটি দোতলা বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন। বাসটি হোটেল সোনারগাঁওয়ের বিপরীতে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে পৌঁছলে হঠাৎ পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসি বাসটির গা ঘেঁষে অতিক্রম করে। দুই বাসের প্রবল চাপে গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজীবের হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ওই ঘটনার পর পথচারীরা রাজীবকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। টানা ১৩ দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে রাজীবের মৃত্যু হয়। রাজীবের বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই।তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন। পড়ালেখার পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার টাইপ করে তিনি নিজের এবং ছোট দুই ভাইয়ের খরচ চালাতেন।