যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলোচনাকারী দলের সঙ্গে “খুব গঠনমূলক” ফোনালাপের কিছু ঘণ্টা পরই ইউক্রেনে আবারও রাতজুড়ে বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
রবিবার ভোরে মধ্য ইউক্রেনের শিল্পনগরী ক্রেমেনচুকের মেয়র ভিতালি মালেতস্কি জানান, শহরটিতে ধারাবাহিকভাবে ‘বড় ধরনের যৌথ হামলা’ চালানো হয়েছে। এখনো কোনো প্রাণহানির খবর না মিললেও একাধিক এলাকায় পানি, বিদ্যুৎ ও গরমের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
রাশিয়ার দাবি
মস্কো বলেছে, তারা বিভিন্ন এলাকায় ইউক্রেনের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
শান্তি আলোচনা–এর মাঝেও হামলা
মায়ামিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান আলোচনায় যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি গ্রহণযোগ্য শান্তিচুক্তির খসড়া নিয়ে কাজ এগোচ্ছে।
এই আলোচনায় অংশ নিয়েছেন—
স্টিভ উইটকফ, ট্রাম্পের বিশেষ দূত
জ্যারেড কুশনার, ট্রাম্পের জামাতা
ফোনালাপ শেষে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আলোচনায় সম্ভাব্য যে কোনো চুক্তি রাশিয়া যেন মানে, সেই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ক্রেমেনচুক: কৌশলগত শহর বারবার লক্ষ্যবস্তু
কিয়েভ ও পূর্ব ফ্রন্টলাইনের মাঝামাঝি থাকা এই শহরটি ২০২২ সালের আগ্রাসনের পর থেকেই রাশিয়ার বারবার হামলার শিকার হয়ে আসছে।
ওয়াশিংটনের চাপ ও ইউরোপের উদ্বেগ
হোয়াইট হাউস কিয়েভ ও মস্কোকে শান্তি প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি আনতে বহু দফায় চাপ দিচ্ছে।
তবে—
এখনো উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতির ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন পরিকল্পনার কিছু শর্তে আপত্তি জানিয়েছে।
ইউরোপ যুদ্ধোত্তর ইউক্রেনের জন্য শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, এমনকি প্রয়োজনে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছে—যার জন্য তারা ওয়াশিংটনের সমর্থন চাচ্ছে।
জেলেনস্কির বক্তব্য
জেলেনস্কি এক্স-এ লিখেছেন—
“ইউক্রেন সত্যিকারের শান্তি অর্জনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ চালিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
তিনি আরও বলেন, আলোচনায় এমন বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে যা রক্তপাত বন্ধ করতে পারে এবং ভবিষ্যতে রাশিয়ার নতুন পূর্ণমাত্রার হামলার সম্ভাবনা কমাতে পারে।
সিএ/এএ


