গাজা উপত্যকায় যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, তা পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি সমাধান ছাড়া কখনোই সম্পূর্ণ শান্তিচুক্তি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি। শনিবার দোহা ফোরাম ২০২৫–এর এক প্যানেল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। খবর—মিডল ইস্ট মনিটর।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা কাতারের নিরাপত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ। কাতার কোনো সামরিক শক্তি প্রদর্শনের পথে হাঁটতে চায় না; বরং কূটনীতি, বিনিয়োগ এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে শান্তি ও প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্য অর্জন করতে চায়। মধ্যস্থতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সংঘাত সমাধানই কাতারের প্রধান কৌশল বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, কাতার সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের পথ খোলা রাখে এবং কোনো পক্ষের প্রতি পক্ষপাত দেখায় না। কারণ, খোলা যোগাযোগ ছাড়া কোনো বিরোধের বাস্তবসম্মত সমাধান সম্ভব নয়।
ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের মূল কারণগুলো মোকাবেলার গুরুত্ব তুলে ধরে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজার সংকটের অবসানই যথেষ্ট নয়; পশ্চিম তীরের অবস্থা ও ফিলিস্তিনের জাতীয় আকাঙ্ক্ষাকেও সমানভাবে বিবেচনায় নিতে হবে। যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের এ পর্যায়কে তিনি ‘সংকল্পমূলক মুহূর্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁর ভাষায়, মধ্যস্থতাকারীরা বর্তমানে চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কাজ করছেন, যা একটি অন্তর্বর্তী ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
গত ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, যা দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলের বিধ্বংসী অভিযানের ইতি টানে। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
সিএ/এএ


