আনিস মিয়াঃ
ভৌগোলিক পরিবতন ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে বিভিন্ন সময় আমাদের পৃথিবী থেকে কিছু প্রজাতির প্রাণি ও উদ্ভিদের বিলুপ্তি ঘটেছে । আজ থেকে ৪৫০ মিলিয়ন বছর আগে (আর্ডোভিসিয়ান যুগের শেষের দিকে ) শতকরা ৮৫ ভাগ প্রজাতির গনবিলুপ্তি ঘটেছিলো ।
বিলুপ্তি বলতে সাধারনত আমরা যা বুঝি তা হলো প্রকৃতিতে যেসকল প্রজাতি পূর্বে ছিলো কিন্ত বর্তমানে তাদের কোন অস্তিত্ব নেই তাদের বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতি বলে আর গনবিলুপ্তি বলতে বুঝায় বিভিন্ন কারণে সময়ের ব্যবধানে বিপুল সংখ্যাক প্রজাতি কোন নিদিষ্ট অন্চল থেকে এমনি পৃথিবির বুক থেকেই হারিয়ে গেলে এমন বিলুপ্তিকে বলা হয় গনবিলু্প্তি ।
এমনি এক বিলুপ্তি প্রায় উদ্ভিদের নাম তালপাম গাছটি দেখতে অনেকটা গ্রাম বাংলার চির পরিচিত তাল গাছের মতো যার কারণে বাংলায় এর নাম দেওয়া হয়েছে তালি বা তালপাম উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ভাষায় এর বৈজ্ঞানিক নাম Corypho taliera Roxb. এবং এটি Arecaceae(palmae) গোএর একটি প্রজাতি
তালিপাম গাছের আকার আকৃতি অনেকটা তাল গাছের মতোই ৬০ থেকে ৭০ বছর পযন্ত এর জীবনকাল । তবে সবচেয়ে আচর্যের বিষয় যে তালিপাম গাছ ৬০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে মাএ একবারই ফুল ও ফল উৎপাদন করে ।
পৃথিবির বিভিন্ন স্থানে তালিপাম উদ্ভিদ দেখা গেলেও বর্তমানে এটি বিলুপ্ত প্রায় ।কারন ১৯৭৯ সালের আগে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের শান্তি নিকেতনে একটি মাএ বন্য তালিপাম গাছ দেখা যায় কিন্তু পবে এটি কেটে ফেলা হয় । সর্বশেষ বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আর একটি তালিপাম গাছ পাওয়া যায় । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত গাছটিও ২০১০ সালে ফুল ও ফল উৎপাদন শেষে ২০১২ সালে বিলুপ্ত হয়ে যায় ।
তবে মৃত্যুর আগে গাছটি বহু ফল উৎপাদন করে গেছে যা অসংখ্যা চারা করে বন বিভাগের মাধ্যমে দেশের বিভন্ন অন্চলে রোপন করা হয়েছে । তবে নিরাশার বিষয় এই যে বর্তসানে পৃথিবির আর কোথায় বন্য অবস্থায় তালিপাম গাছের খবর পাওয়া যাযনি । সুধু বাংলাদেশেই রোপনকৃত কিছু তালিপাম গাছ রয়েছে । তবে বন বিভাগের ধারনা মতে আগামী ৬০ থেকে ৭০ বছর পর পৃথিবির আর কোথাও তালিপাম গাছ পাওয়া সম্ভব নয় ।