মোঃ সোয়াইদ সামীহ্
সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যু এখন পুরোনো একটি খবর। অহরহই এমন মৃত্যুর দুঃখজনক খবর আমাদের কানে আসছে, টিভিতে খবর হচ্ছে। আর এই সেলফি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। একই সাথে এই মৃত্যু কমিয়ে আনার উপায় নিয়ে শুরু হয়েছে গবেষণা। প্রতিবছর মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ঝুঁকিপূর্ণ কোন জায়গায় গিয়ে সেলফি তুলে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম বা টুইটারে পোস্ট করা এক প্রকার ফ্যাশন হয়ে গিয়েছে আর বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। মার্কিন গবেষকেরা এই ক্রমবর্ধামান দুঃখজনক মৃত্যু কমিয়ে আনার একটি কৌশল খুঁজে বের করেছেন। এজন্য তারা একটি মোবাইল এপস তৈরী করেছেন যা সেলফি তোলার সময় প্রসঙ্গিক ঝুঁকি বুঝে নিয়ে সতর্ক সংকেত দিতে সক্ষম। মার্কিন গবেষকদের গবেষণায় জানা গেছে, ২০১৪ সালে সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের, ২০১৫ সালে ৩৯ জনের আর ৭৩ জনের অকাল জীবনহানি ঘটেছে কেবল ২০১৬ সালের প্রথম আট মাসে। গবেষকেরা আরো দেখেছেন যে, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এই মৃত্যুর কারণও বিভিন্ন। সেলফি ভিত্তিক এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন পিটার্সবার্গের কারনেইজ মেইল বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ছাত্র হেমাংক লাম্বা এবং তার একদল সহকরর্মী বন্ধু।
কি পেয়েছেন গবেষকেরা ?
২০১৪ সালে সেলফি তুলতে গিয়ে একজনের মৃত্যুর খবরটি একটি বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ মাধ্যম থেকে প্রথম চোখ পড়ে গবেষক হেমাংকের। তারপর থেকে তিনি এ বিষয়ে খোঁজ খবর রাখতে শুরু করেন। হেমাংক ও তার গবেষক দল ১২৭টি মৃত্যুর ঘটনা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ঘটতে দেখেন। এর মধ্যে ৭৬টি ঘটেছে ভারতে, ৯টি পাকিস্তানে, ৮টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আর ৬টি ঘটনা রাশিয়ার। আর সবচেয়ে বেশি ঘটনার সাথে আছে কোন সুউচ্চ ভবন, পাহাড় চূড়া, কিংবা খাড়া গিরিখাদ থেকে পড়ে গিয়ে নিহত হওয়ার ঘটনা। আর এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ সেলফি তোলার পেছনে উদ্দেশ্য হিসেবে কাজ করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ ছবি পোস্ট করে অনুসারিদের কাছে বাহবা কুড়ানো।
২০১৪ সালে সেলফি তুলতে গিয়ে একজনের মৃত্যুর খবরটি একটি বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ মাধ্যম থেকে প্রথম চোখ পড়ে গবেষক হেমাংকের। তারপর থেকে তিনি এ বিষয়ে খোঁজ খবর রাখতে শুরু করেন। হেমাংক ও তার গবেষক দল ১২৭টি মৃত্যুর ঘটনা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ঘটতে দেখেন। এর মধ্যে ৭৬টি ঘটেছে ভারতে, ৯টি পাকিস্তানে, ৮টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আর ৬টি ঘটনা রাশিয়ার। আর সবচেয়ে বেশি ঘটনার সাথে আছে কোন সুউচ্চ ভবন, পাহাড় চূড়া, কিংবা খাড়া গিরিখাদ থেকে পড়ে গিয়ে নিহত হওয়ার ঘটনা। আর এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ সেলফি তোলার পেছনে উদ্দেশ্য হিসেবে কাজ করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ ছবি পোস্ট করে অনুসারিদের কাছে বাহবা কুড়ানো।
মৃত্যুর নানা কারণ –
ভারতের বেশি মৃত্যু হয়েছে চলন্ত ট্রেনের সামনে রেললাইনে দাড়িয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে। ভারতে বিশ্বাস করা হয় চলন্ত ট্রেনের সামনে রেললাইনে বন্ধু বা সঙ্গীর সাথে সেলফি তোলা গেলে সেই সম্পর্ক চিরস্তায়ী হয়। এ ধরনের সেলফি রোমান্টিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ায় মৃত্যুর ঘটনায় আছে আগ্নেয়াস্ত্রের সাথে সেলফি তুলতে গিয়ে। এই দুটি দেশে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রন আইন বেশ শিথিল এবং অস্ত্রবাজি খুবই নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
ভারতের বেশি মৃত্যু হয়েছে চলন্ত ট্রেনের সামনে রেললাইনে দাড়িয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে। ভারতে বিশ্বাস করা হয় চলন্ত ট্রেনের সামনে রেললাইনে বন্ধু বা সঙ্গীর সাথে সেলফি তোলা গেলে সেই সম্পর্ক চিরস্তায়ী হয়। এ ধরনের সেলফি রোমান্টিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ায় মৃত্যুর ঘটনায় আছে আগ্নেয়াস্ত্রের সাথে সেলফি তুলতে গিয়ে। এই দুটি দেশে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রন আইন বেশ শিথিল এবং অস্ত্রবাজি খুবই নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
সেলফি মৃত্যু নিরসনে কি করা যায় ?
হেমাংক ও তার গবেষক দল এমন একটি অ্যাপস উদ্ভাবন করেছে যা থ্রিল প্রিয় সেলফি তোলা ব্যক্তিকে এর ঝুঁকি সম্পর্কে সাধারন করে সংকেত প্রদান করবে। এই অ্যাপস রেললাইনের সামনে চলন্ত ট্রেন চলে আসলে বা ঝুঁকিপূর্ণ উঁচু স্তান থেকে সেলফি তোলার আগেই সেলফি গ্রহনকারীকে বাধা প্রদান করবে। এই অ্যাপসে লোকেশন সার্ভিস আর ইমেজ তোলার আগে পজিশন বিবেচনা করে ঝুঁকির হার নির্ণয় করতে সক্ষম। তাদের অ্যাপসের জন্য যে অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়েছে তা ৩০০০ ঝুঁকিপূর্ণ সেলফির ক্ষেত্রে পরীক্ষা করে ৭০% সফলতা পাওয়া গেছে। অবশ্য সেলফি তোলার এমন চরম ঝুঁকিপূর্ণ মুহূর্তে সর্তকতা সংকেত পরিস্তিতিকে আরো খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে গবেষণায় আরেকটি পর্যবেক্ষনে উঠে এসেছে।কেন সেলফি মৃত্যু সাধারন ঘটনা ?
সেলফি যত ভালো, ইন্সটাগ্রাম আর ফেসবুকে অনুসারী তত বেশি। ফেসবুক আর অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে সহজেই পরিচিতি পাওয়া এখন প্রজন্মের কাছে ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে। আর মোবাইলে সেলফি তোলা আয়নার সামনে দাড়ানোর মতোই সহজ কাজ। তাই সস্তায় জনপ্রিয়তা পাওয়ার উপায় হল ‘বেটার সেলফি পোস্টিং’। রাশিয়ার কিরিল ওরেশকিন সুউচ্চ ভবনের ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার ভঙ্গিতে সেলফি তুলে ফেসবুকে ১৭৯০০ এরও অধিক অনুসারি পেয়েছে। আরেক রাশিয়ান দ্রেওয়াসিক একই রকম সেলফি পোস্ট করে ইন্সটাগ্রামে জনপ্রিয়। তবে ২০১৫ সালে একটি ঝুঁকিপূর্ণ সেলফি তুলতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে, যে ওকসানা বি নামে জগতে পরিচিত, ব্যালকনির রেলিং বেয়ে পড়ে যাওয়ার ভঙ্গিতে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে।
হেমাংক ও তার গবেষক দল এমন একটি অ্যাপস উদ্ভাবন করেছে যা থ্রিল প্রিয় সেলফি তোলা ব্যক্তিকে এর ঝুঁকি সম্পর্কে সাধারন করে সংকেত প্রদান করবে। এই অ্যাপস রেললাইনের সামনে চলন্ত ট্রেন চলে আসলে বা ঝুঁকিপূর্ণ উঁচু স্তান থেকে সেলফি তোলার আগেই সেলফি গ্রহনকারীকে বাধা প্রদান করবে। এই অ্যাপসে লোকেশন সার্ভিস আর ইমেজ তোলার আগে পজিশন বিবেচনা করে ঝুঁকির হার নির্ণয় করতে সক্ষম। তাদের অ্যাপসের জন্য যে অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়েছে তা ৩০০০ ঝুঁকিপূর্ণ সেলফির ক্ষেত্রে পরীক্ষা করে ৭০% সফলতা পাওয়া গেছে। অবশ্য সেলফি তোলার এমন চরম ঝুঁকিপূর্ণ মুহূর্তে সর্তকতা সংকেত পরিস্তিতিকে আরো খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে গবেষণায় আরেকটি পর্যবেক্ষনে উঠে এসেছে।কেন সেলফি মৃত্যু সাধারন ঘটনা ?
সেলফি যত ভালো, ইন্সটাগ্রাম আর ফেসবুকে অনুসারী তত বেশি। ফেসবুক আর অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে সহজেই পরিচিতি পাওয়া এখন প্রজন্মের কাছে ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে। আর মোবাইলে সেলফি তোলা আয়নার সামনে দাড়ানোর মতোই সহজ কাজ। তাই সস্তায় জনপ্রিয়তা পাওয়ার উপায় হল ‘বেটার সেলফি পোস্টিং’। রাশিয়ার কিরিল ওরেশকিন সুউচ্চ ভবনের ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার ভঙ্গিতে সেলফি তুলে ফেসবুকে ১৭৯০০ এরও অধিক অনুসারি পেয়েছে। আরেক রাশিয়ান দ্রেওয়াসিক একই রকম সেলফি পোস্ট করে ইন্সটাগ্রামে জনপ্রিয়। তবে ২০১৫ সালে একটি ঝুঁকিপূর্ণ সেলফি তুলতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে, যে ওকসানা বি নামে জগতে পরিচিত, ব্যালকনির রেলিং বেয়ে পড়ে যাওয়ার ভঙ্গিতে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে।
সূত্র: বিবিসি