ইশতিয়াক আহমেদ
আধুনিক বিজ্ঞানের প্রসারে পেন্সিল এখন রকমারি রঙের। রঙ দ্রব্যের সঙ্গে মাটি,মোম,চর্বি মিশিয়ে তৈরি করা হয় রঙ পেন্সিল। ব্যবহারের বিচারেও পেন্সিল নানানরকম। কাপড়ের ওপর দাগ কাটার জন্য এক রকম,চিনামাটি,কাঁচ এবং অতিশয় মসৃণ বস্তুর ওপর দাগ কাটার জন্য আরেকরকম। আবার ডাক্তাররা রোগীর চামড়ার ওপর দাগ কাটার জন্য আরও এক রকমের পেন্সিল ব্যবহার করেন যা ডার্মাটোগ্রাফ পেন্সিল নামে পরিচিত।
Pencil শব্দটি একটি ইংরেজি শব্দ। আদিকালে এই শব্দটির চেহারা ছিলো অন্যরকম। ভাওয়েল দুটির অবস্থান ছিলো ঠিক বিপরীত অর্থাৎ Pencil এর সাবেকি রূপ ছিলো Pincel. পেন্সিল শব্দটি এসেছে লাতিন শব্দ “পেন্সিলাস” থেকে যার অর্থ ছোট লেজ।
পেন্সিলেরর আদি কথায় গিয়ে মনে পড়লো যে বয়সে পেন্সিলের কনিষ্ঠ কলম। কলমকে কোনোমতে ১৮০৩ সালের আগে রাখা যায়না। কিন্তু পেন্সিল মানুষের হাতে আসে ১৭৯৫ সালের দিকে। সেটা মাটিময় পেন্সিলের কথা। পেন্সিল প্রথম ব্যবহার করে রোমানরা। তারা দাগ কাটা এবং আঁকা-আকির কাজে পেন্সিল ব্যবহার করতো। ষোড়শ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ইংল্যান্ডে এর প্রচলন সর্বপ্রথম শুরু হয়। ইংল্যান্ডের বেরোডেল নামক এক জায়গায় গ্রাফাইটের এক বিশাল খনি পাওয়া যায়। পরবর্তীকালে গ্রাফাইটের সঙ্গে মাটি মিশিয়ে দিয়ে পেন্সিলের গুণের বৃদ্ধি ঘটানো হয়েছে। মাটির পরিমাণ যত বেড়েছে তত শক্তি বেড়েছে পেন্সিলের। গুণ বিচারে নানান নাম তার। আর তা সংক্ষেপে লেখা থাকে পেন্সিলের গায়ে। কোনোটি HB মানে Hard Black আবার কোনোটি শুধু H বা Hard.